ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ ফেব্রুয়ারি।।
তিপ্রামথার আমরণ অনশন নিয়ে তপ্ত রাজ্য রাজনীতির।যখন সমস্ত ফোকাস মথার নেতা প্রদ্যুৎ কিশোরের দিকে, ঠিক তখনই দিল্লিতে গোপন বৈঠক সারলেন রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির প্রধান তিন সদস্য। দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সদর দপ্তরে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ও কোর কমিটির অন্যতম সদস্য জিষ্ণু দেববর্মণ। বৈঠকে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। বৈঠকের উপপাদ্য বিষয় ছিলো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী চয়ন ও প্রদ্যুৎ কিশোরের আমরণ অনশন সংক্রান্ত বিষয়।
খবর অনুযায়ী, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুইটি আসনের প্রার্থীদের নাম এখনো চূড়ান্ত করতে পারে নি রাজ্য বিজেপি। সহমতে আসতে পারছেন না বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্বও।তালিকায় বেশ কিছু নাম ঘুরাফেরা করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পরে নি নেতৃত্ব। তাই প্রার্থী ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী – প্রদেশ সভাপতি সহ প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী একান্তেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দিল্লিতে বসে সারলেন বৈঠক।
দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উঠে আসে প্রদ্যুৎ কিশোরের আমরণ অনশন কর্মসূচি। পর্যায় ক্রমে প্রদ্যুৎ কিশোর বিজেপির রাজ্য ও সর্ব ভারতীয় নেতৃত্বকে বার বার চাপে রাখার চেষ্টা করছে। এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন নেতৃত্ব। বর্তমানে পাহাড়ে বিজেপির শক্তির গভীরতা নিয়েও আলোচনা করা হয় বৈঠকে। এই বৈঠকে প্রদেশ বিজেপির নেতৃত্ব একমত হন, “কোনো ভাবেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিপ্রামথার সঙ্গে আসন সমঝোতা করা যাবে না। যেকোনো মূল্যেই দুইটি আসনেই বিজেপি একক ভাবে লড়াই করবে। বরং নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনবে।”
ভারত সরকারের অফিসিয়ালদের ডাকে প্রদ্যুৎ কিশোর বুধবার দিল্লিতে ছুটে গেলেও তা, নাকি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না রাজ্য নেতৃত্ব। প্রদ্যুৎ কিশোরকে কেন্দ্রীয় নেতারা বরাবর একটু বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এটা মানতে পারছেন না রাজ্য নেতৃত্ব। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঊর্ধ্বে উঠে তারা কিছু বলতেই পারছেন না। প্রদ্যুৎ কিশোরকে নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই লাফালাফি পছন্দ করেছেন না বিজেপির জনজাতি মোর্চার নেতারাও। তাই প্রদ্যুৎ’কে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্ব। এদিন দুপুরের বৈঠক সেরে রাতেই রাজ্যে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী ডা : মানিক সাহা ও প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ। তবে দিল্লিতে থেকে যান প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।