ডেস্ক রিপোর্টার,২৮সেপ্টেম্বর।।
রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি আগামী দিনের জন্য উদ্বেগ জনক। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। গত এক দশকে রাজ্যের জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বিধানসভায়।
ট্রেজারী ব্যাঞ্চের সদস্যা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় জনসংখ্যার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, রাজ্যে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ব্যাপক ভাবে বাড়ছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আগাম পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কল্যাণী রায়ের প্রশ্নের জবাবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যে গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবের হার ১.৭শতাংশ। এক্ষেত্রে একজন মা দুই জন সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। এটাই মানদণ্ড। তাই এই মুহূর্তে জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই।
রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০১১ সালের
আদমশুমারি অনুসারে ত্রিপুরার মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৬ লক্ষ। কিন্তু সাম্প্রতিক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মতে ত্রিপুরার মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪১ লক্ষ। অর্থাৎ এক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ লক্ষ। হিসাব অনুযায়ী, গত এক দশকে রাজ্যে ১৩.৫শতাংশ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যে এই হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে আগামীদিনে ঘটবে জন বিস্ফোরণ। এটা রাজ্যের জন্য হবে যথেষ্ট উদ্বেগ জনক।
কল্যাণী রায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যদি এখন থেকে এই হবে রাজ্যে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে খুব দ্রুত মোট জনসংখ্যা কোটিতে স্পষ্ট করবে। ত্রিপুরার ছোট রাজ্যে এই পরিসংখ্যান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
মূখ্য সচেতকের উদ্বেগের কথা শুনে বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকার এক সন্তানের নীতি প্রণয়ন করতে চান কিনা?
জনসংখ্যার প্রসঙ্গ টেনে ট্রেজারী ব্যাঞ্চের সদস্য সুধাংশু দাস বলেন,রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে নির্দিষ্ট অংশের মানুষের আধিপত্য বেশি। তাদের মধ্যে বেশি সন্তান নেওয়ার প্রবণতাও বেশি। রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে এটাও একটা বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী স্পস্ট করে দেন,এই মুহূর্তে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।রাজ্যে এখনো জনসংখ্যার হার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *