
ডেস্ক রিপোর্টার, ১১জুলাই।।
রাজ্যের পাহাড় গুলিতে জুম চাষে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। তার জন্য অবশ্যই রাজ্য ও এডিসির দণ্ড মুণ্ডের কর্তাদের কোনো ভূমিকা নেই। সমস্ত কৃতিত্ব জুম চাষীদের। জুমের অন্যান্য ফসল গুলির মতো এবার তিল চাষে মনোনিবেশ করলো গিরিবাসীরা। বাজারে তিল শষ্যের ভালো চাহিদা । জনজাতিরা তিলকে এখন জুমের প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে জুমে তিল উৎপাদন করলেই তা সঠিক ভাবে বাজার জাত করতে পারছে না। মূল্যায়ন পাচ্ছেন না পাহাড়ের তিল চাষীরা।অথচ এদিকে নজর নেই প্রদ্যুৎ কিশোরের নেতৃত্বাধীন এডিসি প্রশাসনের।আবার তিনিই নাকি জনজাতিদের উন্নয়নের ফেরিওয়ালা। তাদের স্বপ্ন দেখাছেন গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের।
তেলিয়ামুড়ার মহকুমার মুঙ্গিয়ায়াকামি ব্লকের অন্তর্গত রঙ্গীয়াটিলা, আঠারোমুড়ার বুদ্ধিরাম,
হাজরাপাড়াতে মূলত জনজাতি অংশের মানুষের বসবাস। জুম চাষ করেই এরা জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জুমে এখন জনজাতিদের নতুন সংযোজন তিল চাষ।অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও জুমে তিল চাষ করেছে এরা।চাষ করা তিল এখন পরিপক্ক হয়ে উঠার পালা। আসছে আশ্বিন মাসে তিল ঘরে তুলতে জুমিয়ারা। তাদের উৎপাদিত তিল শস্য সঠিক ভাবে বাজারজাত করতে পারছেনা। এডিসি প্রশাসনও করছে না কোনো সাহায্য সহযোগিতা। তাই কপালে চিন্তার ভাঁজ তিল চাষীদের।বলছেন, জুমে তিল শস্য উৎপাদনকারী এক জুমিয়া।

জুমে চাষাবাদ করার জন্য এডিসি প্রশাসন থেকে দেওয়া হচ্ছে না কোনো বীজ। জুম চাষ নিয়ে উদাসীন এডিসি ভিলেজগুলি। এই পরিস্থিতিতে জুমিয়ারা রাজ্য কৃষি দপ্তর বা এডিসি থেকে বীজ, সার দেওয়ার দাবি করছেন। অন্যথায় তাদের পক্ষে জুম চাষ করে পেট প্রতিপালন করা অসম্ভব হয়ে উঠছে।

তাই সংসার প্রতিপালনের জন্য জনজাতিরা বিকল্প হিসাবে চাপা কলার চাষ করে থাকে। নিয়ম করেই এরা জুমে কলা গাছ রোপণ করেছে। এই কলা বাজারে বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রতি পালন করে সংসার। রাজ্যের জুমের মধ্যে তিল শস্যের চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই অবস্থায় জুমিয়াদের সাহায্যে রাজ্য সরকার ও এডিসি প্রশাসন এগিয়ে আসলে আক্ষরিক অর্থেই পাহাড়ের এক অর্থকরী ফসল হিসেবে আত্ম প্রকাশ করতে পারবে তিল শস্য। এবং জনজাতিদের ঘটবে অর্থনৈতিক বিকাশও। দাবি কৃষি বিশেষজ্ঞদের।