ডেস্ক রিপোর্টার,২৩,এপ্রিল।।
গোটা দেশ সহ রাজ্যে মারণ ভাইরাস করোনার রেশ এখনো কাটেনি। প্রতি মুহূর্তে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে করোনার চতুর্থ ঢেউ।তারমধ্যেই আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু’র আতঙ্ক।ইতিমধ্যে রাজ্যে আগমন ঘটেছে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু’র। এবার আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু’র মৃগয়া ক্ষেত্র বিশালগড়ের মধুপুর পশু খামার।এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান দাস।
প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু’র ভয়াবহতা মারাত্মক হয়।পশুদের শরীরে তা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। তাই এই মুহূর্তে বিভিন্ন পশু পাখির মাংস খাওয়া মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

মন্ত্রী ভগবান দাস জানিয়েছেন, গত কিছুদিন ধরে দেবীপুর সরকারি পশু ফার্মে থাকা শুকরের মধ্যে নানান উপসর্গ দেখা দিয়েছিলো। তখন বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ হয়।মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু শুকরের।এরপরই এই ফার্মের শুকরের রক্তের নমুনা আরটিপিসি টেস্ট করার জন্য পাঠানো হয়েছিলো গুয়াহাটি আঞ্চলিক পরীক্ষাগারে। রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর চিকিৎসারা নিশ্চিত হন সোয়াইন ফ্লু’র আগমন ঘটেছে দেবীপুর পশু খামারে।

“আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু’র কোনো টিকা নেই।তাই কালিং করা বাধ্যতামূলক।এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই”। বলেছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান দাস। স্বাভাবিক ভাবেই দেবীপুর সরকারি খামারে থাকা ফ্লু আক্রান্ত শুকরদের কালিং করতেই হবে। আগামী কিছু দুয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে কালিং প্রক্রিয়া।

প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতে থাকা সরকারি ফার্মের পশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে গুয়াহাটিতে। তাছাড়া ফার্ম গুলিতে কর্মরত কর্মী সহ চিকিৎসকরা প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছে পশুদের উপর। আগামী কিছু দিনের মধ্যে অন্যান্য ফার্মের পশুদের পাঠানো রক্তের রিপোর্টও চলে আসবে চিকিৎসকদের হাতে। প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে থাকা বেসরকারি ছোট-বড় ফার্মের লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত ফার্মে থাকা পশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে দপ্তর। প্রাণী সম্পদ দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে শুকরের মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *