ডেস্ক রিপোর্টার,১ সেপ্টেম্বর।।
রাজ্যে এখনো বিচরণ করছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাকের সদস্যরা। ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে তারা নিরন্তর সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। বেনামী মোবাইল নম্বর থেকে তারা ফোন করছে সাধারণ মানুষকে। মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ফোন করে নানান রাজনৈতিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের। এই কৌশলের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি।
মোবাইলে আলোচনার মাধ্যমে মানুষকে রাজনৈতিক পরিবর্তনেও উদ্বুদ্ব করছে বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট লোকজন। এর আগে অবশ্যই রাজ্যে এই ধরণের ঘটনার নজির নেই।তবে আই-প্যাকের টিম রাজ্যে যে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে মানুষের মোবাইলে আসা উড়ো ফোন থেকেই তা প্রমাণিত।
সম্প্রতি খোয়াইয়ের এক যুবকের মোবাইলে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে।মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে এক মেয়েলি কন্ঠ। মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা নারীটি যুবকের কাছে নিজেকে “রাজনীতির গবেষক” বলে পরিচয় দেন। বার্তালাপের সময় মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা নারীটি যুবককে নানান রাজনৈতিক প্রশ্ন করেন। শাসক দল বিজেপি সম্পর্কে তার মনোভাব জানতে চায়।কেন বিজেপি কে ভোট দেবে? বিজেপি ব্যতীত তার চিন্তাভাবনায় অন্য কোনো দল আছে কি না? রাজ্যের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা, বেকার সমস্যা।এরকম বহু প্রশ্ন মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা নারী ছুঁড়ে দেন যুবকের দিকে।
একই ভাবে সাব্রুম থেকেও এক যুবক জানিয়েছে, গত কয়েকদিন আগে আচমকা তার মোবাইলে ভেসে উঠে একটি “অপরিচিত” নম্বর।সে কল রিসিভ করতেই মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা এক যুবতী তার কাজ থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানতে চান।এই যুবক প্রথম দিকে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।শেষ পর্যন্ত রাজ্য রাজনীতির হাল-হকিকত নিয়ে যুবতীর সঙ্গে মত বিনিময় করে যুবকটি।এই যুবক নিয়েই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গোটা রাজ্যে এধরণের ফোন অনেক লোকজনের কাছে যাচ্ছে। ফোন যাচ্ছে সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকজনের কাছেও।আই-প্যাক দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রক্রিয়া চালু করেছে।এখনো চলছে তাদের কার্যকলাপ।মূলত, বিজেপি ব্যতীত অন্য রাজনৈতিক দল নিয়ে কি ধরনের চিন্তাভাবনা রয়েছে মানুষের সেটাই মেপে নিতে চাইছেন আই-প্যাকের সদস্যরা।
রাজনৈতিক বিশারদদের বক্তব্য, সাধারণত আই-প্যাক এভাবেই তাদের সমীক্ষা চালিয়ে থাকে। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে তারা পরবর্তী সময়ে বিশ্লেষণ করে। বিশ্লেষণের পর আসা নির্যাস থেকেই স্থির করে রণকৌশল। সমীক্ষার কাজের সময় আই-প্যাক বারবার নিজেদের পরিচয় গোপন রাখে। এর আগে পশ্চিম বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যেও একই কায়দায় ভোট সমীক্ষা করেছিলো প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক।