ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮ মে।।
রাজ্যের জন্য এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো ঘূর্ণিঝড় “রেমাল”। রেমালের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে।শুধু তাই নয়, ৬৭ বছরের বৃষ্টির রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। এবং করেছে নতুন রেকর্ড। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২০৪.৫মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে কখনো ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে এতো বৃষ্টিপাত হয় নি।আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দাবী, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বুক চিড়ে চলে গিয়েছে ।ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার গভীর রাতে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার গতিতে ত্রিপুরা অতিক্রম করেছে।

রেমালের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বহু জায়গাতে মানুষের বাড়িঘরের ছাউনী ভূ – পতিত হয়েছে। বড় বড় গাছ – গাছালি ভেঙ্গে পড়েছে। এর ফিরে ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার।ফোনের তার।উপড়ে গিয়েছে বহু বিদ্যুৎ খুঁটি। রীতি মতো রাজ্যজুড়ে এক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ছিলো ঘূর্ণি ঝড় রেমাল। এর ফলে বহু অঞ্চলে ঘটে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। অন্ধকারে ডুবে আছে রাজ্যের বহু এলাকা।

বিদ্যুৎ কর্মীরা যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় কাজ করছে। বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের প্রতিনিধিরাও কাজ করছে সর্বক্ষণ।রাজ্যের প্রচুর জায়গাতে বড় বড় গাছ ভেঙ্গে পড়েছে মূল সড়কে। ফলে বন্ধ যান চলাচল। বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্যরা ভূ – পতিত হওয়া গাছ – গাছালি গুলিকে রাস্তা সরিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক করছে যান চলাচল।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,২৭ মে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ২৮ মে ৮টা ৩০ পর্যন্ত, ঊনকোটি জেলাতে সর্বোচ্চ ২৫২.৪মিমি রেকর্ড সংখ্যক বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারপরে ধলাই জেলায় ২৪৮.৩মিমি।উত্তর জেলায় ২৪২মিমি বৃষ্টিপাত।,

পশ্চিম জেলায় ২২৯.০মিমি, সিপাহিজলা জেলায় ১৮৭.২ মিমি, খোয়াই জেলাতে ১৯৯মিমি, গোমতি জেলা ১৯৮.২মিমি এবং দক্ষিণ জেলা ১৬৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে ঊনকোটি, উত্তর জেলা, ধলাই ও পশ্চিম জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে।