ডেস্ক রিপোর্টার,১৩ফেব্রুয়ারি।।
ক্ষণে ক্ষণেই পরিবর্তন হচ্ছে রাজ্যের অবাম রাজনীতির ক্লাইমেক্সে।২০১৮-তে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসার দেড় বছর পর থেকেই ঘরোয়া কোন্দল চাগার দেয়।তারপর ক্রমেই পরিস্থিতি টালমাটাল হয়।
বিজেপি’র এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই বঙ্গ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর রাজ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসের একটা জোয়ার আসে।অবাম ভোটারদের একটা অংশের ঝোঁক বারে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। গত বছর জুলাই মাসে শহীদ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের আটি বাঁধতে শুরু করেছিল।রাজ্যে আগমন ঘটেছিলো তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী সংস্থা “আই-প্যাকে”র। পুলিশ আই-প্যাক টিমকে আটক করতেই হঠাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেসের টিআরপি বেড়ে যায় কংগ্রেসে। বিজেপি’র বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গেও তৃণমূল নেতৃত্বের আলোচনা আচমকা জনপ্রিয়তা বাড়ে ঘাসফুলের।সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোটে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ২৩শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রার্থী দিয়ে সাহায্য করেছিলেন বিজেপি’র তৎকালীন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।কয়েকবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যে এসে ২৩-এ বিজেপি সরকারকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।কিন্তু এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেই দলের কোনো পদে। তার দেওয়া হুমকি এখন পান্তা ভাতে পরিণত হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলে যখন গুঞ্জন চলছিলো বিজেপি’র বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও তার অনুগামী বিধায়করা যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে।তখনই ফের রাজনীতির চিত্র নাট্যে পরিবর্তন আসে।সুদীপ রায় বর্মন ঝুঁকে যান কংগ্রেসের দিকে। কংগ্রেসের দিকে সুদীপের ফোকাস বাড়তেই তৃণমূল কংগ্রেসের টিআরপিতে ধাক্কা লাগে।সঙ্গে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের ব্যর্থতা।
রাজনীতিকরা বলছেন, সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনো না কোনো কারণে তৃণমূল কংগ্রেস ধরে রাখতে পারে নি সুদীপকে।কারণ এখন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসে নেই কোনো গ্রহণ যোগ্য নেতা।সুবল ভৌমিক দলের আহবায়ক হলেও তিনি এখন অতীত। কিন্তু গোটা রাজ্য ব্যাপী সুদীপ রায় বর্মনের একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে।কিন্তু সুবল ভৌমিকের এমন কোনো নেটওয়ার্ক নেই।স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল সুদীপ বর্মনকে দলে আনতে ব্যর্থ হওয়াতে আঘাত লেগেছে দলের সংগঠনে।তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা সুদীপ অনুগামীরা এখন চলে যাবে কংগ্রেসে।ফলে দুর্বল হয়ে পড়বে তৃণমূল।সুদীপকে দলে টেনে নিতে পারলে কয়েকজন বিধায়ককেও পেয়ে যেত তৃণমূল।কিন্তু কিছুই হয়নি।রাজনীতিকদের বক্তব্য, সুদীপ রায় বর্মনের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মানেই রাজ্য রাজনীতিতে ক্ষয়িষ্ণুর পথে চলে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী কিছুদিন পর দূরবীন দিয়েও তৃণমূলকে দেখা যাবে না।এখন বঙ্গ তৃণমূলের অবস্থা করুন।পিসি-ভাইপো’র দ্বন্দ্বে তৃণমূলের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।এই পরিস্থিতিতে ঘাসফুল প্রতিদিন মলিন থেকে মলিনতর হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *