
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৫আগস্ট।।
বিলোনিয়াতে ফের রক্তাক্ত ঠিকাদার।ঠিকাদারকে প্রাণ নাশের চেষ্টা ।ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড ঋষ্য মণ্ডলের সাধারন সম্পাদক রাজীব পাল।
তার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা।
কিন্তু পুলিশকে তদন্তে বাধা দিলেন মণ্ডল নেতৃত্ব।
অভিযোগ আক্রান্ত ঠিকাদারের।অপরাধের আতুর ঘর বিলোনিয়ার ঋষ্যমুখ মণ্ডল। স্থানীয় মণ্ডল নেতারা ডুবে আছেন দুর্নীতির অক্টোপাসে। তোলাবাজি তাদের উপার্জনের মূল উৎস।ঠিকাদার থেকে ব্যবসায়ী,সাধারণ মানুষ বিজেপির মণ্ডল নেতাদের তাণ্ডবে দিশে হারা। আইন – শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। বিলোনিয়া পুলিশ পালন করছে শিখণ্ডীর ভূমিকা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও তারা অসহায়। ফের তার প্রমাণ পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার রাতে।

রাতের বিলোনিয়াতে স্থানীয় ঠিকাদার সিবক শীলের উপর প্রাণঘাতি হামলা করে ঋষ্যমুখ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব পাল। ঠিকাদারি ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। একথা জানিয়েছেন আক্রান্ত ঠিকাদার ।
ঠিকাদার সিবক শীলের বক্তব্য, রাজীব পাল ও তার সাগরেদরা তাকে কিরিচ, ভোজালি সহ নানান ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আক্রমণ করে। উদ্দেশ্য ছিল হত্যা করার। কিন্তু সিবকের আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এরপর হামলা কারীরা পিছু হটে। ছি: ছি:।

এটাই কি নেতার চরিত্র। এমন বিজেপি তো চায় নি রাজ্যের মানুষ। রাজীব পালদের মতো তোলাবাজ, রাজ জোগালিরা নেতা হয়ে গেলে যা,হওয়ার তাই হচ্ছে বিলোনিয়াতে।

আক্রান্ত ঠিকাদার সিবক শীল বিচারের জন্য গিয়েছিলেন ঋষ্যমুখ মণ্ডলের সভাপতি সুশঙ্কর ভৌমিকের কাছে। মণ্ডল নেতারা তাকে মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পর্দার অন্তরালে তারাই পুলিশকে বারণ করে দিয়েছেন ঠিকাদারের দায়ের করা মামলার তদন্ত না করতে। বলছেন আক্রান্ত ঠিকাদার।

ঠিকাদার সিবক শীল এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তোলাবাজ নেতা রাজীব পাল ঠিকাদারের পরিবারকেও হুমকী হুজ্জুতি দিচ্ছেন।

অসহায় পুলিশ। পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার কাছে আর্জি জানিয়েছেন আক্রান্ত ঠিকাদার।
