
সাব্রুম ডেস্ক,১৭জানুয়ারি।।
লরির চাপা দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে খাদ্য দপ্তরের স্টোর কিপারকে খুন করার অভিযোগ উঠলো এক চালকের বিরুদ্ধে। খুন হওয়া স্টোর কিপারের নাম সুভাষ মহাজন (৪৯)। ঘটনা সাব্রুমে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ঘাতক লরির চালক জাকির হোসেন। বাড়ি উদয়পুর।তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে সাব্রুম থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে ঘাতক লরিটিকে। একজন প্রতিবাদী সরকারী কর্মচারীর খুনের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে।

সাব্রুম মহকুমা শাসক কার্যালয়ের খাদ্য দপ্তরের চালের গো-ডাউনের স্টোরকিপার হিসেবে চাকুরী করতে জান সুভাষ মহাজন। প্রতিদিনের মতো বুধবারেও সুভাষ মহাজন সময় অনুযায়ী যান তার কর্মস্থলে। এই সময়ে চালক খাদ্য দপ্তরের গো-ডাউনে চালের বস্তার চালান নিয়ে পৌঁছায় টিআর – o১ এএস ১৬৩৫ নম্বরের লরিটি।চালক ছিলেন জাকির হোসেন।

নিয়ম মেনে স্টোর কিপার সুভাষ মহাজন লরিতে থাকা চালের বস্তার গননা শুরু করেন। আচামকা উপস্থিত শ্রমিকরা স্টোরের সামনে চিৎকার শুনতে পায়। তারা দৌঁড়ে এসে দেখে লরিটি পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে গিয়েছেন স্টোর কিপার সুভাষ মহাজন। তার মাথা থেঁতলে যায় পুরোপুরি ভাবে। সঙ্গে সঙ্গে অকুস্থল থেকে কেটে পড়ে লরিটির চালক জাকির হোসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। তারা রক্তাক্ত অবস্থায় সুভাষ মহাজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা স্টোর কিপার সুভাষ মহাজনকে মৃত বলে ঘোষনা করে।

সাব্রুম খাদ্য দপ্তরের খবর অনুযায়ী, প্রায়শই জাকির হোসেনের লরিতে আসা চালের বস্তার চালানে হিসাবের গড়মিল ঘটতো। অর্থাৎ লরিতে দুই – তিনটি বস্তা কম থাকতো।স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতেন স্টোর কিপার সুভাষ মহাজন। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার সুভাষ ও লরির চালক জাকির হোসেনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিলো। তখন জাকির হোসেন প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল স্টোরকিপারকে।

এটা এসডিএম অফিস চত্বরে সবার কাছেই জানা। ধারণা করা হচ্ছে, লরির চাল চুরি করার ক্ষেত্রে বার বার জাকিরকে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন সৎ নিষ্ঠাবান স্টোর কিপার সুভাষ মহাজন। এই কারণেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে স্টোর কিপারকে খালাস করার ছক কষে ছিলো। এবং শেষ পর্যন্ত তাতে সফল হয়েছে জাকির হোসেন। পুলিশ তদন্ত করছে, সুভাষ মহাজন খুনের রহস্য উন্মোচন করতে।