
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
২৪- র আগেই প্রদেশ বিজেপিতে বড় চমক।লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির সভাপতি পরিবর্তন।নতুন সভাপতির দৌঁড়ে কিশোর বর্মন ও অমিত রক্ষিত।খবর প্রদেশ বিজেপি সূত্রের। ২৪- র ভোটকে সামনে রেখে পরিবর্তন হতে পারে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি। বর্তমান সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের পরিবর্তে আসবেন নতুন মুখ। এমন ইঙ্গিত মিলছে প্রদেশ বিজেপির অন্দর মহল থেকে।

গেরুয়া শিবিরের খবর, লোকসভা নির্বাচন ও ধনপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে গুটি সাজাচ্ছে বিজেপি। ধনপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন দলের বর্তমান সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এক্ষেত্রে রাজীব ভট্টাচার্যের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। রাজীব ভট্টাচার্য ধনপুরে হয়ে উঠছেন বিজেপির মূল অস্ত্র। রাজীবকে সামনে রেখেই ধনপুরে তিপ্রামথা ও সিপিআইএমকে বধ করার জন্য ব্লু প্রিন্ট সাজিয়েছে।

রাজীব ভট্টাচার্যকে ধনপুরে চাপ মুক্ত হয়ে কাজ করার জন্য সুযোগ করে দেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যে কোনো মূল্যে ধনপুরে জয় ছিনিয়ে আনতে চাইছে বিজেপি। ধনপুর কেন্দ্র থেকে রাজীব ভট্টাচার্য জয়ী হলে নিশ্চিতভাবে তাকে জায়গা দেওয়া হবে রাজ্য মন্ত্রিসভায়। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ধনপুর কেন্দ্রের উপভোটে দলীয় প্রার্থীর জয় প্রায় নিশ্চিত।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে রাজীব ভট্টাচার্যের পরিবর্তে কে হতে পারেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি?

খবর অনুযায়ী, প্রদেশ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে নাম উঠে আসছে কিশোর বর্মন ও আমি রক্ষিতে। কিশোর বর্মন এই মুহুর্তে বিধায়ক। অমিত রক্ষিত প্রদেশ বিজেপির সাধারন সম্পাদক। এরা দুই জনই প্রদেশ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি দৌঁড়ে রয়েছেন। এর আগেও প্রদেশ সভাপতির দৌঁড়ে ছিলেন কিশোর বর্মন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রাজীব ভট্টাচার্যের উপর ভরসা রেখেছিলেন। এবার কি কিশোরের উপর ভরসা রাখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিতও লম্বা রেসের ঘোড়া।

২৩- র নির্বাচনের আগে দলীয় সংগঠনকে সাজানোর কাজে অমিতের বড় একটা ভূমিকা রয়েছে। রাজীব ভট্টাচার্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই অমিত রক্ষিতকে সহ – সভাপতি থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।ভোটের মুখে অমিত খুব ভালো করেই পালন করেন তার দায়িত্ত্ব।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও আমিত রক্ষিত ভাল রসায়ন রয়েছে।এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কিশোর বর্মনও। তবে দলের নেতা – কর্মী সমর্থকদের মধ্যে অমিত রক্ষিতের জনপ্রিয়তা তুলনামূলক ভাবে কিশোর বর্মন থেকে বেশি বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।