ডেস্ক রিপোর্টার,২০মে।।
রাজ্যের মানুষকে চমকে দিলেন রাজ্য বিজেপি’র বিধায়িকা মিমি মজুমদার।চলে এলেন লাইম-লাইটে।তবে বিধায়িকা হিসাবে মানুষকে সেবা করে নয়,মানুষের সেবায় নিজে তুষ্ট হয়ে।
একজন জনপ্রতিনিধিকে আমজনতা কিভাবে তুষ্ট করতে হয় তা গোটা রাজ্যকে দেখিয়ে দিলেন বাধারঘাটের বিজেপি বিধায়িকা মিমি মজুমদার। শাসক দলের এই বিধায়িকার আচরণ দেখে ছি:ছি: রব উঠেছে সর্বত্র।। বৃষ্টির জল ভেঙে এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন বিধায়িকা মিমি মজুমদার। তিনি নোংরা জল মাড়িয়ে গেছেন।স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর পায়ে ময়লা লাগে, পায়ে থাকতে পারে রোগ জীবাণু। তাই সতর্ক ছিলেন বিধায়িকা মিমি মজুমদার। নিন্দুকরা বলে থাকেন,মিমির পা মাটিতে পড়ে না সহজে, এবার এই পা স্পর্শ করেছে ‘বিস্টার’ জল। এই কারণেই নাকি বৃষ্টির জল মাড়িয়ে যাওয়া ক্লান্ত বিধায়িকা একজন গণদেবতাকে ডেকে তাঁর পা ধুয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। বিধায়িকার নির্দেশে অসহায় মহিলা পা ধুয়ে দিয়েছেন। এবং বিধায়িকার পায়ে থাকা কর্দমাক্ত মাটি সরিয়ে দিয়েছেন নিজ হাতে। এই মহিলা বয়সে অনেক বড় হবে বিধায়িকা মিমি মজুমদারের থেকে। বিধায়িকা তাড়িয়ে তাড়িয়ে গোটা বিষয়টি উপভোগ করেন।

মিমি মজুমদারের পা ধুয়ে দেওয়ার ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছি: ছি: রব উঠে সর্বত্র। বিরোধী দলগুলি মিমি মজুমদারের এই আচরণ নিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে শাসক দল বিজেপিকে। বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, মিমি মজুমদারের পা ধোয়ার ঘটনা অমানবিক, মনুষ্যত্বহীন। বাধারঘাটের সিপিআইএম নেতারা ঝাঁঝালো ভাষায় বলেন, “মিমি মজুমদার হঠাৎ বিধায়ক। মাটির মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।নেই লড়াই,আন্দোনের ইতিহাস।স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষমতা পেলে তাঁর অপব্যবহার কিভাবে করতে হয় মনুষ্যত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে তা দেখিয়ে দিলেন মিমি মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *