
ডেস্ক রিপোর্টার,৭জুলাই।।
শুরু হলো রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী খারচি
পুজো। বৃহস্পতিবার সকালে এই পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। খারচি পুজো শুধুমাত্র একটি নিছক পুজো বা মেলা নয়, এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি ও পরম্পরার ঐতিহ্য। রাজ আমল থেকেই খারচি উৎসবের প্রচলন শুরু হয়েছে। সাত দিনব্যাপী চলতে থাকা খারচি উৎসবে আনন্দে মাতোয়ারা থাকে রাজ্যের জাতি – জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ।

রাজ্যের এই খারচি উৎসব পরিণত হয় এক মিলন মেলায়।শেষ দুই বছর মারন ভাইরাস করোনার জন্য শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে পুজো হয়েছিল। এবার অবশ্যই কোভিডের নাগপাশ থেকে মুক্ত রাজ্যের মানুষ।উৎসবের প্রথম দিনেই চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে সামিল হচ্ছে কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী। বসেছে মেলাও। প্রতি বছরের মতোই খারচি উৎসব কেন্দ্র করে গোটা চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

খারচি পুজো উপলক্ষ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,”সবাইকে খারচি পূজার শুভেচ্ছা জানাই। চতুর্দশ দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করি যাতে রাজ্যবাসীকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অন্তহীন অগ্রগতির আশীর্বাদ করেন।”
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও এদিন খারচি মেলা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষকে।
খারচি পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন, তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন।তিনি রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। প্রদ্যুৎ কিশোর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার বলেন,”খারচি পূজা উপলক্ষে সকলের শান্তি, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা কামনা করছি! সমস্ত জনগণ একত্রিত হয়ে ইতিবাচকতায় মনোনিবেশ করুন।”