ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮মে ।।
    নাম: সবিতা দেবনাথ।বাড়ি: বরোজ কলোনী।
থানা: বিলোনিয়া  থানা ।মামলা নম্বর: ২৯/২০২২
ধারা: ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩০২।ঘটনা ২০২২- র ১৭সেপ্টেম্বর। অকুস্থল সিএমও অফিস সংলগ্ন জঙ্গল।

অভিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণ দেবনাথ।

বিলোনিয়া শহর সংলগ্ন বরোজ কলোনীর বাসিন্দা সবিতা দেবনাথ।২০২২- র বিশ্বকর্মা পুজোর  রাতেই রহস্য জনক ভাবে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন গৃহবধূ সবিতা। বহু খোজখুজির পরও গৃহবধূ সবিতার কোনো সন্ধান পায় নি পরিবারের লোকজন। বিলোনিয়া মহিলা থানায় দায়ের করা হয়েছিলো মিসিং ডায়েরি। কিন্তু কোথায়ও গৃহবধূ সবিতাকে পাওয়া যায় নি। নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর  বিলোনিয়ার সিএমও অফিস সংলগ্ন একটি জঙ্গলে বিবস্ত্র অবস্থায় সবিতা দেবনাথের ক্ষতবিক্ষত লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।


পুলিশ সবিতা দেবনাথের লাশ উদ্ধার করে তদন্তে নামে। সবিতার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী কৃষ্ণ দেবনাথ ও চম্পা দাসের নামে বিলোনিয়া মহিলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ  উভয়কে গ্রেপ্তার করে। এবং কিছু দিন জেলে থাকার পর অভিযুক্তরা বেড়িয়ে আসে। ছাড়া পায় জামিনে।

মৃতার পরিবারের সদস্যা।

জামিন থেকে ছাড়া পেয়েই চাপের
খেলা শুরু করেছে অভিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণ।খুন হওয়া সবিতা দেবনাথের পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি শ্রীকৃষ্ণের।রাতের অন্ধকারে শ্রীকৃষ্ণের লোকজন চক্কর কাটে মৃতা সবিতার বাড়ির চারদিকে।অভিযোগ সবিতা দেবনাথের পরিবারের সদস্যদের।অভিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণ দেবনাথ খুন হওয়া সবিতার পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত হুমকি হুজ্জুতি দিচ্ছে।কিন্তু পুলিশ কোথায়?


রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা  অপরাধ দমনে পুলিশকে  ফ্রী হ্যান্ড দিয়েছেন।তারপরও বিলোনিয়া থানার পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে আছে কেন? অন্তরালে কোনো রহস্য কাজ করছে?উঠছে প্রশ্ন।
অবাক করার মতো ঘটনা, নিয়ম অনুযায়ী পুলিশকে ৯০দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা করতে হয়। কিন্তু বিলোনিয়া মহিলা থানার পুলিশ তা করেনি।


বিলোনিয়া মহিলা থানার পুলিশ কর্মীরা একজন মহিলা খুনের মামলার চার্জশিট দিতে এখনো ব্যর্থ।জানালেন খোদ খুন হওয়া সবিতা দেবনাথের পরিবারের সদস্যরা।  বিলোনিয়া মহিলা থানা পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে জনমনে।প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *