রাষ্ট্রীয় কন্ঠ।।
  ফের দক্ষিণের তিন বাম নেতার সশ্রম কারাদণ্ড।
তাদের বিরুদ্ধে বিলোনিয়া আদালতে হামলার অভিযোগ।রয়েছে বিচারককে গালমন্দের অভিযোগও। রায় ঘোষনা করেছেন জেলা ও দায়রা
বিচারপতি আশুতোষ পান্ডে।বুধবার বিচারক এই রায় ঘোষণা করেছেন।
২০১৫- সাল। রাজ্যে তখন বামেরা ভর যৌবন পেরিয়ে পৌঢ় কালের প্রারম্ভিক লগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে নিজেদের পৌঢ় কাল যে এতো দ্রুত চলে আসবে তা স্বপ্নেও ভাবেন নি রাজ্যের কমিউনিস্ট নেতারা। তখন তাদের মনে ছিলো অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনোভাব। ১৫- র ২রা সেপ্টেম্বর বামপন্থীরা গোটা দেশে ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল। এদিন খোলা ছিলো বিলোনিয়া আদালত।


আর তাতেই ক্ষেপে গিয়েছিলেন দক্ষিণ জেলার তিন দাপুটে বাম নেতা তাপস দত্ত,ত্রিলোকেশ সিনহা ও বাবুল দেবনাথ। ক্ষমতার বলে বলিয়মান হওয়া তিন বাম নেতা হিতাহিত জ্ঞান ভুলে সরাসরি আদালতে প্রবেশ করে এবং হামলা চালায়।তৎকালীন জেলা ও দায়রা বিচারক রুহিদাস পালকে বিশ্রী ভাষায় গালিগাল করে তারা।আদালতে উপস্থিত কর্মীদের আদালত বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন বাম নেতারা। বলেছেন বিলোনিয়া কোর্টের সরকারী আইনজীবী।


আইন জীবীর বক্তব্য, এই ঘটনা জানাজানি হতেই তখন আদালতে ছুটে এসেছিল বিলোনিয়া থানার পুলিশ।পরবর্তী সময়ে পুলিশ আদালতের নির্দেশে স্বত প্রণোদিত মামলা দায়ের করে। তিন বাম নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ড বিধির ৪৪৭,৩৫৩,৩৩২ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর শঙ্কর সাহা।তিনি তদন্ত শেষ করে তিন বাম নেতা তাপস দত্ত,ত্রিলোকেশ সিনহা ও বাবুল দেবনাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।


ভারতীয় দণ্ড বিধির ৪৪৭ ও ৩৪ ধারা অনুযায়ী
দুই মাসের জেল এবং পাঁচশো টাকা জরিমানা করেছিলো। অনাদায়ে আরো দশ দিনের জেল। ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৫৩/৩৪ ধারা অনুযায়ী
দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছিলো।
পরবর্তী সময়ে তিন অভিযুক্ত তাপস দত্ত,ত্রিলোকেশ সিনহা ও বাবুল দেবনাথ পৃথক ভাবে জেলা ও দায়রা আদালতে জামিনের জন্য আপিল করেন।


আদালত তিনটি আপিলকে একসাথে করে বুধবার পুনরায় রায় ঘোষণা করে।এক্ষেত্রে জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারক আশুতোষ পান্ডে  নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। জানিয়েছেন বিলোনিয়া আদালতের সরকারী আইনজীবী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *