ডেস্ক রিপোর্টার,২৭এপ্রিল।।
একই দিনে একই সময় শাসক-বিরোধীর মিছিল-সভা কেন্দ্র করে বিরাজ করছে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। বিজেপি-সিপিআইএমের মধ্যে সংঘর্ষের উপক্রম হয়।যদিও শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত টিএসআর ও সিআরপিএফ। ঘটনা কল্যাণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মোহরছড়া স্কুল মাঠে। শেষ পর্যন্ত সিপিআইএমকে সভাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বুধবার দুপুরে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় জনমনে
সিপিআইএম নেতৃত্বের বক্তব্য, পুর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সিপিআইএমের মোহরছড়া অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে সভা মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। প্রধান বক্তা সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। সেই অনুযায়ী পুলিশের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী,পূর্ব নির্ধারিত সূচি মোতাবেক মোহরছড়া মরগাং পাড়া নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে বাম কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হয়।সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, তেলিয়ামুড়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক হেমন্তকুমার জমাতিয়া, প্রাক্তন বিধায়ক মনীন্দ্র চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
তখনই মাঠের অপর প্রান্তে জড়ো হয় বিজেপি’র যুব মোর্চার কর্মী -সমর্থকরা। তাদের প্রধান কর্মসূচি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’। তারাও আগাম অনুমতি নিয়েই মাঠে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে এসেছে। দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
স্কুল মাঠের দুই প্রান্তে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। মুহূর্তে তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। উপক্রম হয় সংঘর্ষের। এক পক্ষ, অপর পক্ষের দিকে তেড়ে আসে। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে। মুহূর্তে বিষিয়ে উঠে পরিবেশ। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে জরুরী তলবে ঘটনাস্থলে বাড়ানো হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।এক সময় পরিস্থিতি বেগতিক হওয়াতে পুলিশ জল কামান নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ বামেদের স্কুল মাঠ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
কল্যাণপুর মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি শুভঙ্কর সেন জানিয়েছেন, তারা আরো এক সপ্তাহ আগেই পুলিশের কাছ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছে। স্বচ্ছ ভারত, জন সংযোগ সহ আরো কিছু দলীয় কর্মসূচি করার জন্যই নেওয়া হয়েছে আগাম অনুমতি। যুব নেতার বক্তব্য, সিপিআইএম জেনেশুনে সন্ত্রস করতেই এখানে এসেছে।সঙ্গে নিয়ে আসে বহিরাগত হারমাদদের।
সভা-মিছিল করার বিষয় নিয়ে বেশ কিছুটা সময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা করেছেন রাজ্য সিপিআইএম সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। কমিউনিস্ট নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী পুলিশের অনুমতি পত্র দেখিয়ে বলেন, “রাজ্যে নেই গণতন্ত্র, বালাই নেই সংবিধানের।পুলিশ পরিণত হয়েছে বিজেপি’র ‘দাসে’।
জিতেন্দ্র চৌধুরীর কথায়, একাংশ পুলিশ কর্মী শাসক দলের দল দাসে পরিণত হয়েছে।তারা ক্ষমতায় ফিরে এলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। বিজেপিকে কটাক্ষ করে জিতেন বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি ভয় পেয়ে গেছে।তাই সিপিআইএমকে মিছিল-সভা করতে দিচ্ছে না।
এটা বাস্তব পুলিশ কর্মীরা শক্ত হাতেই সামাল দিয়েছে পরিস্থিতি।এবং বামেদের স্কুল মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে উত্তেজনার প্রশমন করতে সক্ষম হয় পুলিশ।