সহকর্মীর বুলেটে নিহত দুই টিএসআর ।মুখ্যমন্ত্রীর শোক প্রকাশ।নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা।

বিশালগড় ডেস্ক,৪নভেম্বর।।
ফের রক্তাক্ত রাজ্যের মেজর স্ট্রাকিং ফোর্স টিএসআর। সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হলো দুই টিএসআর কর্মীর।নিহত টিএসআর কর্মীরা হলেন সুবেদার মার্কাসিং জমাতিয়া ও নায়েব সুবেদার কিরণ জমাতিয়ার।ঘটনা শনিবার সকালে।ঘটনাস্থল বিশালগড়ের কোনাবন ওএনজিসি প্রজেক্টে। সহকর্মীদের উপর বুলেট নিক্ষেপের পর খুনি জওয়ান সুকান্ত দাস মধুপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এই ঘটনা কেন্দ্র করে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে টিএসআর কর্মীদের মধ্যে। দুই টিএসআর জওয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহত টিএসআর কর্মীর পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
বিশালগড়ের কোনাবনে ওএনজিসি’র প্রজেক্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে টিএসআরের পঞ্চম ব্যাটেলিয়ন। শনিবার সকালে বাহিনীর দুই জওয়ান ডিউটি করছিলেন ওএনজিসি প্রজেক্টে। সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ ক্যাম্পের অপর জওয়ান সুকান্ত দাস আচমকা তার দুই সহকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে।বুলেটের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুবেদার মার্কা সিং জমাতিয়ার। বুলেট বিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন নায়েব সুবেদার কিরণ জমাতিয়া। গুলি শব্দ শুনে ব্যারাক থেকে অন্যান্য জওয়ানরা বেরিয়ে আসে।তারা এই ঘটনা দেখে হতভম্ব হয়ে যায়।নিজের দুই সহকর্মীর উপর গুলি চালিয়ে সুকান্ত দাস সরাসরি দৌঁড়ে চলে যায় মধুপুর থানায়।সেখানে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। জমা দেয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা বারুদ।ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই গুলি বিদ্ধ জওয়ান কিরণ জমাতিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় মধুপুর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় জিবি হাসপাতালে। জিবিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিরণ জমাতিয়ার মৃত্যু হয়।নিহত জওয়ানের লাশ রাখা হয় মধুপুর হাসপাতালে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান টিএসআর-র পদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশ টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে খুনি জওয়ান সুকান্ত দাসকে।
সুকান্ত কেন তার দুই সহকর্মীর গুলি চালিয়েছিল? টিএসআর-র অন্দর মহলের খবর, খুনি জওয়ান সুকান্ত দাসের স্ত্রী মল্লিকা রিয়াং একজন পুলিশ কনস্টেবল।তিনি আরকে পুর থানায় কর্মরত। সম্প্রতি পারিবারিক কারণে মল্লিকা রিয়াং ছুটি চেয়েছিলেন।কিন্তু কর্তৃপক্ষ মল্লিকাকে ছুটি না দিয়ে তাকে রিফ্রেশার ট্রেনিংয়ের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। স্ত্রী ছুটি না পাওয়াতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে যান সুকান্ত দাস। হতাশা থেকেই সুকান্ত দাস এই গুলিকান্ড ঘটিয়েছে। রবিবার তাকে সোপর্দ করা হবে আদালতে।