তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৯ডিসেম্বর।।
বণ্য দাঁতাল হাতিকে পোষ মানানোর জন্য এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান গড়ে তোলার লক্ষ্য মাত্রাকে সামনে রেখে মধু এবং মতি-কে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে এনে রাখা হলো মুঙ্গিয়াকামীস্থিত হাতি ক্যাম্পে।
বিগত কয়েক বছর পূর্বে তেলিয়ামুড়া মহকুমার মঙ্গিয়াকামী এলাকায় আসাম- আগরতলা জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী ঘন জঙ্গলে হাতি ক্যাম্প এবং পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রাজ্য বন দপ্তর থেকে কাজ শুরু করেছিল। অবশেষে পরীক্ষামূলক ভাবে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে মধু এবং মতি নামক দুই পুরুষ হাতিকে মঙ্গিয়াকামীস্থিত হাতি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হলো শুক্রবার রাতে। কারণ, সিপাহী জলা অভয়ারণ্যে হাতির খাদ্য সংকট থাকলেও কিন্তু মুঙ্গিয়াকামী হাতি ক্যাম্পের আশপাশ এলাকাটি হাতের খাদ্যের জন্য পরিপূরক স্থান। কারণ মঙ্গিয়াকামী এলাকার গভীর বনাঞ্চলে বাঁশ গাছ এবং পর্যাপ্ত কলাগাছ রয়েছে। যা হাতির প্রধান খাদ্য হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
অন্যদিকে হাতির প্রসঙ্গ টেনে খোয়াই জেলা বন আধিকারিক ডঃ নিরাজ কুমার চঞ্চল জানান, “বর্তমানে হাতি ক্যাম্পের জায়গাটি ধীরে ধীরে একটি পার্ক গঠন করা হবে। যাতে পর্যটকরা এখানে এসে আকর্ষিত হয়ে ওঠে। হাতি ক্যাম্প সহ পার্কটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে পরবর্তী সময়ে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে আরো দুটি হাতিকে নিয়ে আসা হবে এই ক্যাম্পে”। নিরাজ কুমারের কথায়, এই ক্যাম্পে যেন ৮টি হাতি প্রতিপালন করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এই হাতি ক্যাম্পটি আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তীতে অবস্থিত হওয়ায় ভবিষ্যতে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক এই পার্কটিতে ভিড় জমাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বনদপ্তর সূত্রের খবর, তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীন বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্য দাঁতাল হাতির উন্মক্ত তাণ্ডব থেকে স্থানীয় মানুষকে পরিত্রাণ দিতেই সিপাহীজলা থেকে আনা হয়েছে পোষ্য হাতি।তবে হাতির সমস্যা নিরসনে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর কতটা সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *