আগরতলা,৩১মে।।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার এর নিকট মঙ্গলবার ডেপুটেশন প্রদান করেছেন সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক, সহ- সভাপতি প্রকাশ দাস, সহ-সভাপতি তাপস খিসা, সাধারণ সম্পাদক তাপস রায় এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক জানিয়েছে, “তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে আগামী ২৩ জুন চার বিধানসভার উপনির্বাচন হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে আমরা মিলিত হয়েছি। চিফ ইলেক্টোরাল অফিসারকে আমরা বলেছি যে এই সরকারের চার বছর ৩ মাসের শাসনে রাজ্যের যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে নির্বাচন করবার মতো পরিস্থিতি নেই। এই সরকার আসার পর, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যে ব্যাপক রিগিং, সন্ত্রাস হয়েছে যেটা ভারতবর্ষের কোথাও হয়নি, একমাত্র ত্রিপুরার পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রে ১৬৮ টা বুথে পুনরায় নির্বাচন করতে হয়েছিল, যদিও সেদিন রিটার্নিং অফিসার ৪৬৬টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেও ভারতীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে ১৬৮টা বুথে পুনরায় নির্বাচন হয়েছিল। পঞ্চায়েতে শাসক দল ৯৮ শতাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন, কারণ বিরোধীদের প্রার্থী পর্যন্ত দিতে দেয়নি।”
তিনি আরো বলেন, ” গত পৌর নিগম নির্বাচনে যে ভাবে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে, আমাদের প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছে, তারাও ভোট দিতে পারেনি। আমি হয়তো ২০বার ডিজিপির কাছে আলোচনার জন্য অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু ডিজিপি এই রাজ্যের কোনো বিরোধীদের সঙ্গে দেখা করে না। আমি একটা সর্বভারতীয় পার্টির সভাপতি হয়েও আমার কোনো প্রাইভেট নিরাপত্তা নেই কিন্তু শাসক দলের ছোট ছোট নেতাদের প্রাইভেট নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে যে বৈষম্য চলছে সেই সব নিয়ে আমরা আজকে একটা মেমোরণ্ডাম বা ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। আমরা জানিয়েছি রাজ্যের মানুষ যাতে ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে। আমরা বলেছি যাতে ফ্রী অ্যান্ড ফেয়ার ভোট হয়, ৪০ শতাংশ ভোট কাস্টিং যেন হয়। ত্রিপুরা রাজ্যে সর্বদা ৯০-৯৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়ে এসেছে।”এক প্রেস বিবৃতিতে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।