ডেস্ক রিপোর্টার, ৯ডিসেম্বর।।
সুস্বাস্থের জন্য চাই স্বচ্ছ পরিবেশ -পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও নির্মল আলো হাওয়া। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেশব্যপী চলছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। এই স্বচ্ছতার প্রয়াশ শুধু ১-২ দিন বা কিছু সময়ের জন্য নয়। প্রতিটি মানুষের জীবনের রোজকার অভ্যেসের মধ্যে আনা চাই এই স্বচ্ছতা। বিষয়টির প্রচার – প্রসারে প্রায় প্রতিনিয়তই চলছে কোন না কোন কর্মসূচি। নেতা মন্ত্রীরা এই বিষয়ে সচেতন করে চলছেন সাধারণ মানুষকে। কিন্তু বিধিবাম। সেই স্বচ্ছ ভারত অভিযানই মুখ লোকায় সোনামুড়ার মাছ ও মাংস বাজারে এসে।
ব্যবসায়ীদের কাটা মাছ ও মাংসের ফেলে দেওয়া বর্জ্য টেনে খায় সারমেয়রা। কখনো কখনো টেনে নিয়ে যায় আশপাশের বাড়িঘরে। যাতে অতিষ্ঠ পথচলতি সাধারণ মানুষ সমেত এলাকার বাসিন্দারা। অথচ নির্বিকার পয়পরিস্কারের দায়িত্বে থাকা সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ। বলছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ী স্বপন চক্রবর্ত্তী।
ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন আগে দিনে ২ বার করে পরিষ্কার হতো এই ময়লা গুলো। এখন হয় একবার। কোন কোন দিন হয়ও না। ব্যবহার করা হয়না ব্লিচিং পাউডার সহ জীবাণু নাশক কোন কিছু। এর বাইরেও মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীরা দাবি তুলেছেন তাদের সুবিধার্থে নগর কতৃপক্ষ যেন একটি ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে দেয়।
কাটা মাছ ও মাংসের রক্তে মাছি মাসের উপদ্রব রয়েছে এলাকাজুড়ে। সকালে বাজার জমে উঠলে দেখা দেয় যত্রতত্র পার্কিং নিয়ে সমস্যা। বাজার করতে আসা ক্রেতাদের যত্রতত্র বাইক পার্কিংয়ের কারনে এই এলাকা দিয়ে পায়ে হেটে পথ চালাই ডে হয়ে পরে। তাই অন্যত্র পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবি উঠছে এলাকাবাসীদের তরফে। অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীর।
এত কিছুর পরও উল্লেখিত বাজারের সম্পাদক যেন পুরোপুরি দোষ চাপাতে রাজি নন নগর কতৃপক্ষের দিকে। তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি না নগর পরিচালনার দ্বায়ীত্বে থাকা কোন কর্তাব্যক্তি যেন তা বোঝাই দ্বায়।
আদো কোন ব্যবস্থা নেবে কি সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ ? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ? কারন এ সমস্যা গুলি শুধু ১-২ দিন ,১-২ মাস বা ১-২ বছরের নয়।