ডেস্ক রিপোর্টার,৬অক্টোবর।।
“আই-প্যাকে”র তৈরি করা স্টেট তৃণমূলের ঘোষিত স্টিয়ারিং কমিটি মানতে নারাজ ঘাসফুলের বড় অংশের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা।বিক্ষুব্ধরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কমিটি পরিবর্তন না হলে তারা বিজেপি ও সিপিআইএমে যোগদান করবে।অভিযোগ, এই কমিটিতে এমন কয়েকজন রয়েছেন যারা জনবর্জিত। সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রতিবেশীরাই তাদের চেনেন না।বিক্ষোব্ধ নেতৃত্বের অভিযোগ,টাকার বিনিময়ে “আই-প্যাক” তাদের কমিটিতে জায়গা করে দিয়েছে। গোটা বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেতা আশীষ লাল সিংহের সঙ্গে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধদের দলে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। খুব শীঘ্রই কিছু একটা বিহীত করবে বঙ্গ নেতৃত্ব।
প্রদেশ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেছেন, স্টিয়ারিং কমিটিতে থাকা অধিকাংশ নেতা-নেত্রীর কোনো গ্রহণ যোগ্যতা নেই রাজ্য রাজনীতিতে।তাদেরকে মানুষ জানেই না।তাদের নেই কোনো রাজনৈতিক লড়াই।তারপরও কমিটিতে তারা স্থান পেয়েছে। এই সমস্ত নেতৃত্ব দিয়ে ত্রিপুরার মাটিতে কংগ্রেসের সঙ্গেও লড়াই করা যাবে না।বিজেপি,সিপিআইএম তো দূঅস্ত।
সুবল ভৌমিককে বাদ দিলে,প্রকাশ দাস থেকে শুরু করে মামুন খান তাদের কোনো জনভিত্তি নেই। সমতল-পাহাড় সব জায়গাতেই একই অবস্থা।তুলনায় আশীষ লাল সিংহের লোক টানার ক্ষমতা অনেক বেশী।পাহাড়ে আশীষ ধীরে ধীরে জনভীত তৈরি করেছে তৃণমূলের জন্য। অকপটে একথা স্বীকার করেছে দলের কর্মী-সমর্থকরা।
প্রকাশ দাস জোট জামানায় একবার মন্ত্রী হয়েছিলেন।তারপর রাজ্য রাজনীতি থেকে হারিয়েই যান।শুরু মাত্র রাজনৈতিক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এদল থেকে ওদলে ছোটাছুটি করছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নেতৃত্ব তার গভীরতা মেপে দূরে সরিয়ে দেয়।বামুটিয়া এলাকায় কান পাতলে শুনা যায় প্রকাশ দাসের সঙ্গে একজন সমর্থকও নেই। কমিটিতে থাকা বাদবাকীদের রাজনীতিতে কোনো অস্তিত্বই নেই।কিন্তু আই-প্যাক নিজেদের মত করে কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন।তাতে সিলমোহর দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই কারণেই প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ নেতা-কর্মী। কমিটিতে অদল-বদল না হলে তারা দল ছাড়তেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *