ডেস্ক রিপোর্টার,৭অক্টোবর।।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস যোগ্য সন্মান দিয়ে পারলো না সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী নেতা বাপটু চক্রবর্তীকে। বাপটু ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত মুখ।তিনি ২০১৩-র বিধানসভা নির্বাচনে খয়ের পুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। পরাজিত হয়েছিলেন অল্প ভোটে।তবে সিপিআইএমের দাপুটে নেতা পবিত্র করকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এন এস ইউ আই থেকে তার উত্থান।দীর্ঘদিন ছিলেন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের দায়িত্বও।কিন্তু বাপটু চক্রবর্তীর মত নেতার অবনমন হয়েছে তৃণমূলের।তাকে দেওয়া হয়েছে যুব তৃনমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক। অথচ বাপটু চক্রবর্তী অনেক আগেই যুব সংগঠন ছেড়ে প্রদেশ নেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন।
প্রদেশ তৃণমূল একাংশ নেতৃত্বের দাবি,ঘাসফুল শিবির বাপটু’র সঙ্গে সুবিচার করেনি। বাপটুকে রাজ্য কমিটিতে জায়গা না দিয়ে মামুন খানের মত রাজ্য রাজনীতির দশ নম্বর স্তরের নেতাকে রাজ্য কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে।মামুন খানের সঙ্গে নেই কোনো লোকজন।রাজনীতিতে তার নেই কোনো প্রোফাইল।তবে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে মামুন খান পশ্চিম ত্রিপুরা আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছিলেন।তার জামানত হয়েছিলো জব্দ।তখন তার অবস্থা ছিলো,”বাঘ নেই বনে শেয়াল রাজা হওয়ার মত।যুব তৃণমূলের সংগঠনে থাকতে হলে সর্বোচ্চ বয়স হতে হবে ৪০ বছর।কিন্তু বর্তমানে বাপটু’র বয়স ৪৪-র উপর।স্বাভাবিক ভাবেই বাপটুকে কিভাবে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক করা হলো? প্রশ্ন উঠছে খোদ তৃণমূল শিবিরে। বাপটুকে যুব তৃণমূলের মাথায় বসানোর ঘটনায় অবাক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্যও।খবর তৃণমূল সূত্রে।
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস মাথা চাড়া দিয়ে উঠতেই মামুন খান শুরু করে তার তোলা বাণিজ্য। সরাসরি মামুন খানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। মামুন খানের মত নেতাদের দিয়ে ত্রিপুরাতে তৃণমূলের ভীত যে শক্ত হবে না তা বলাই বাহুল্য।গত তিন বছর ধরে রাজ্য তৃণমূলের কোনো কার্যকলাপ ছিলো না।নেতা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর মামুনকে খোঁজে পাওয়া ছিলো দুস্কর। তাই সমস্ত বিষয় নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ নেতারা