ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
             স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে অপহরণের নাটক মঞ্চস্থ করলো স্বামী। লম্ফট স্বামীর নাম শুভজিৎ সূত্রধর। বাড়ি ডুকলী ইচাবাজার। ঘটনা মঙ্গলবার সকালে। আমতলী থানার পুলিশ শুভজিৎকে আটক করার চেষ্টা করছে।কারণ অপহরণের নাটক সাজিয়ে সে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো।
              এদিন সকালে শুভজিৎ সূত্রধরের পরিবারের লোকজন আতঙ্কগ্রস্থ অবস্থায় আমতলী থানায় দ্বারস্থ হয়। তাদের বক্তব্য ছিলো, সকালে শুভজিৎ নিজের গাড়ি ড্রাইভ করে মেয়েকে নিয়ে রানীর খামারস্থিত মনফোর্ট স্কুলে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে নি। এর কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রীর কাছে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। মোবাইলের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিটি নিজের পরিচয় গোপন রেখে বলেন ,” তারা শুভজিৎকে অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ বাবদ তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তারা শুভজিৎকে ছাড়বে না। মুক্তিপণ না পেলে তাকে মেরেও ফেলবে।” স্বাভাবিক ভাবেই একথা শুনে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন শুভজিতের স্ত্রী সহ পরিবারের লোকজন। তখন তারা ছুটে আসে আমতলী থানায়।


শুভজিৎ সূত্রধরের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য শুনে হাড়হিম হয়ে যায় আমতলী থানা পুলিশের। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তদন্তে নামে। এবং ছুটে যায় রানীর খামারস্থিত মনফোর্ড স্কুলে। সেখানে গিয়ে পুলিশ শুভজিৎ সূত্রধরের গাড়িটি দেখতে পান। পুলিশ স্কুল চত্বরে সিসি ক্যামেরা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে থানায় ।ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ বুঝতে পারে পুরো ঘটনায় শুভজিতের সাজানো। সিসিটিভির ফুটেজে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়, শুভজিৎ স্কুলের পাশেই তার গাড়িটি রেখে, অন্য একটি গাড়িতে উঠে যায়। সেই গাড়িতে ছিল তার অন্যান্য বন্ধুবান্ধব। তখনই পুলিশের সন্দেহ আরো গাঢ় হয়। পুলিশ তার স্ত্রীর কাছে আসা  মোবাইলের নম্বর খতিয়ে দেখে।


এটি তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধুর। এরপর আরোও বেশ কয়েকজনের মোবাইল থেকেও শুভজিত ফোন করেছে মুক্তিপণের জন্য। সবগুলিই তার পরিচিতি লোকজনের মোবাইল নম্বর। পুলিশ এই সব নম্বরে যোগাযোগ করে শুভজিত সূত্রধরের নাটক সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
              আমতলী থানার ওসি রঞ্জিত দেবনাথ জানিয়েছেন, ” শুভজিৎ ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই নাটক সাজিয়েছে। তার উদ্দেশ্য ছিলো স্ত্রী সহ তার আত্মীয়-স্বজন থেকে টাকা আদায় করা।”পুলিশের কাছে লম্ফট যুবক শুভজিতের ছলচাতুরীর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *