ডেস্ক রিপোর্টার,৩১জানুয়ারি।।
               সম্প্রতি তেলিয়ামুড়া মনটাং ভ্যালিতে এক বনদস্যুকে গ্রেফতারের ঘটনা কেন্দ্র করে রনক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বন দপ্তরের লকআপ থেকে হিন্দি সিনেমার কায়দায় বনদস্যুকে ছড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলো উত্তেজিত গ্রামবাসী। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত হেমন্ত রিয়াংয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নি। কিন্তু বনদস্যু হেমন্ত রিয়াংয়ের দিদি খোদ এসডিএফও সাবির কান্তি দাসর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বনদস্যুর দিদির মামলা দায়ের করার একদিন পর দপ্তর এসডিএফও সাবির কান্তিকে বদলি করে দেয়। বন  ও পুলিশ প্রশাসনের এই ন্যকার জনক ভূমিকায় ছি: ছি: রব উঠেছে সর্বত্র।

।।বিজ্ঞাপণ।।

মনট্যাং ভ্যালি বন দপ্তরের জমি হলেও এডিসির এমডিসি কমল কলই এটাকে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। এই বিষয়ে বন দপ্তর কমল কলইকে নোটিশও জারি করেছিল। কিন্তু কিছুই হয় নি। এখন মনট্যাং ভ্যালি হয়ে উঠেছে বনদস্যুদের অবাদ বিচরন ভূমি। প্রতিদিন মনট্যাংয়ের জঙ্গল থেকে দামী দামী গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনদস্যুরা।

।।বনদস্যু হেমন্ত রিয়াং।।

এদের সিংহ ভাগই জনজাতি সম্প্রদায়ের। গত কয়েকদিন আগে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বন দপ্তর মনট্যাং ভ্যালিতে অভিযান চালায়।তখন কাঠ সহ বন দপ্তরের লোকজনের হাতে ধরা পড়ে বনদস্যু হেমন্ত রিয়াং। তখন তাকে বন দপ্তর সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।এরপরই শুরু হয়ে যায় তুলকামাল কাণ্ড।


বন দপ্তরের গাড়ি থেকে বনদস্যু হেমন্তকে ছাড়ানোর জন্য মনট্যাং ভ্যালির গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে যায়। তারা হেমন্তকে ছাড়ানোর জন্য পথ অবরোধ করে। এরপরও হেমন্তকে ছাড়াতে না পারায় গ্রামবাসীরা বন দপ্তরের লোকজনের উপর হামলা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল তেলিয়ামুড়া এসডিপিও সুধাম্বিকা আর সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতা উপস্থিত পুলিশ ও বনকর্মীদের উপর হামলা শুরু করে। এমন কি উপস্থিত জনজাতি মহিলারা নগ্ন হয়ে পুলিশ ও বন রক্ষীদের উপর হামলে পড়ে। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের কাছে পুরোপুরি ভাবে নতি স্বীকার করে পুলিশ ও বন রক্ষীরা। উত্তেজিত জনতা সকলকে মারধর করে বন দপ্তরের লকআপ থেকে বন দস্যু হেমন্ত রিয়াংকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। নিঃসন্দেহে এটা পুলিশ ও বন প্রশাসনের পরাজয়।


এই ঘটনার পর প্রশাসনকে পাল্টা চাপে ফেলার জন্য হেমন্ত রিয়াংয়ের দিদি এসডিএফও সাবির কান্তি দাসের বিরুদ্ধে মুঙ্গিয়াকামী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার কথা স্বীকার করেছেন তদন্তকারী অফিসার গৌতম দেববর্মা। তিনি জানান, মামলার তদন্ত চলছে।
                 


খোদ ডিসিএমও মামলার তদন্তের উপর নজর রাখছেন। এর বেশি তিনি কিছু বলতে চান নি। প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধীরা অপরাধ করেছে। নগ্ন হয়ে পুলিশের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে জনজাতি মহিলারা।তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি পুলিশ সহ সাধারণ প্রশাসন। এবং সর্বোপরি বন দপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *