ডেস্ক রিপোর্টার, ৪রা
           ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ।রাজ্যের একটি সামাজিক সংস্থা। তারা মুমূর্ষ রোগীদের রক্ত প্রদান করে থাকে। তাও আবার বিনা মূল্যে। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০০হাজার ইউনিট ব্লার্ড ডোনেট করেছে। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের অসহযোগিতার কারণে সংস্থাটি তাদের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রেখেছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে বারংবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও সাক্ষাতের সময় পান নি ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ- র কর্ম কর্তারা।জানিয়েছেন সংস্থার
সম্পাদক তাপস সাহা।


রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে কাজ করতে গিয়ে নিয়মিত ভাবে সমস্যার সন্মুখীন হতে হচ্ছে ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ- র কর্মীরা। কিন্তু তাদের সমস্যার কথা শুনার কেউ নেই।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পক্ষ থেকে পায়নি কোনো সাড়া।স্বাভাবিক ভাবেই এই সামাজিক সংস্থার কর্ম কর্তারা ভেঙ্গে পড়ছেন। তারা বাধ্য হয়ে বন্ধ রেখেছেন সংস্থার কাজ কর্ম। অর্থাৎ এখন থেকে
ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ- মুমূর্ষ রোগীদের রক্ত সরবরাহ করছে না।রাজ্যের মানুষের স্বার্থে মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কি শুনবে সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য?


সামাজিক সংস্থা ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ- র সম্পাদক তাপস সাহার বক্তব্য, তাদের কাজকর্ম শুধু রাজ্যের মধ্যেই সীমা বদ্ধ নয়। বহিঃ রাজ্যেও চলছে কার্যকলাপ।এমনকি বাংলাদেশ,আফ্রিকার মতো দেশগুলিতেও কাজ করেছে এই সংস্থা।


ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ সম্পূর্ন বিনা মূল্যেই তাদের সামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে তারা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরবেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাছাড়া রাজধানীতেও করবে প্রতিবাদ মিছিল।জানিয়েছেন সংস্থার সম্পাদক। তবে নাগরিক সমাজের বক্তব্য, ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ – র কর্ম কর্তারা মুমূর্ষ রোগীদের রক্ত সরবরাহ বন্ধ না রেখে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তারা এটা না করে প্রকারন্তে উঠেছেন সমাজের “কাঠ গড়ায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *