ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬আগস্ট।।
      নরেন্দ্র মোদী হচ্ছেন না দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।২৪- এ দেশ পাবে একজন   মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি হবেন দেশের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী।এই ভবিষ্যত বাণী একজন জ্যোতিষীর।
তিনি কর্নাটকের টিট পুরের শনি মন্দিরের প্রধান।
নাম ড: যশবন্ত গুরুজী।

ড: যশবন্ত গুরুজী।

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে জ্যোতিষী ড: যশবন্ত গুরুজী ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন। নক্ষত্র বিচার করে তিনি বলেছিলেন, কর্ণাটকে কংগ্রেস একক ভাবে সরকার গঠন করবে। কর্ণাটক নির্বাচনের ছয় মাস আগেই এই ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন জ্যোতিষী ড: যশবন্ত গুরুজী।


নির্বাচনের পর জ্যোতিষী ড: যশবন্তের ভবিষ্যত বাণী মিলে যায় অক্ষরে অক্ষরে। এর আগেও জ্যোতিষী যশবন্তের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গিয়েছিল। এই কারণেই ২৪- র লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জ্যোতিষী যশবন্ত গুরুজীর করা ভবিষ্যত বাণী নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। স্নায়ুর চাপ বাড়ছে ভাজপা শিবিরেও।


গুরুজী পরিষ্কার ভাবে বলছেন, ২৪- র লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লির মসনদে বসবেন একজন মহিলা। ইন্দিরা গান্ধীর পর তিনি হবেন দেশের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী।


নক্ষত্র বিচার করে জ্যোতিষী ড: যশবন্ত গুরুজীর বলেছেন, আগামী বছর শিব রাত্রির আগে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের মসনদে বসবে মিলিজুলি সরকার। একক ভাবে কোনো রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করতে পারবে না। সর্ব দলীয় সম্মতিতে একজন মহিলা নেত্রীকে করা হবে প্রধানন্ত্রী। কিন্তু শিব রাত্রির পর নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হলে ঘুরে যেতে পারে রাজনীতির পাশা ঘুটির খেলা।তখন নরেন্দ্র মোদীর হাতেই ফের উঠবে দেশের ব্যাটন।


  * কোন মহিলা নেত্রী হবেন
   দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?


সংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিষী বলেন, এই বিষয়ে তিনি এখনো গননা করেন নি। তবে আগামী কিছু দিনের মধ্যে তিনি নির্দিষ্ট করে দেশের পরবর্তী মহিলা প্রধানমন্ত্রীর নাম জানিয়ে দেবেন।
জ্যোতিষী ড: যশবন্ত গুরুজীর এই ভবিষ্যত বানীর পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে কে হতে পারেন মহিলা প্রধানমন্ত্রী।এই মুহূর্তে মোদী বিরোধী শিবিরে লাইম লাইটের প্রথম সারিতে আছেন তিন নেত্রী। একজন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী,তার তনয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাদের বাইরেও আছেন কয়েকজন।


ড: যশবন্ত গুরুজীর এই ভবিষ্যত বানীর পর স্নায়ুর চাপ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি বরাবর জ্যোতিষী,নক্ষত্র বিচার ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিশ্বাস রাখে।স্বাভাবিক ভাবেই যশবন্ত গুরুজীর এই ভবিষ্যত বানীর পর হৃদ স্পন্দন বেড়ে গিয়েছে বিজেপি ও আরএসএস নেতাদের। যারা জ্যোতিষ শাস্ত্রকে বিশ্বাস করে না, তাদের কাছে অবশ্যই ড: যশবন্তের এই ভবিষ্যত বাণী গুরুত্বহীন। কর্নাটকের জ্যোতিষী ড: যশবন্ত গুরুজীর এই ভবিষ্যত বাণীর ফলাফল দেখার জন্য অবশ্যই দেশের মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে আট মাস। তারপরই বুঝা যাবে তার গননা কতটা নিখুদ ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *