ডেস্ক রিপোর্টার, ২১নভেম্বর।।
                    ২৪- র লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুইটি আসনকে অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যে কোনো মূল্যে রাজ্যের দুইটি চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তারা ধারাবাহিক ভাবে রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। প্রথম ধাপে দিল্লি নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহাকে জরুরী তলব করেছিলো। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেছেন। দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় জনতা পার্টির দিল্লির নেতাদের ডাক আসে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের কাছে।রবিবার রাতেই সভাপতি ছুটে যান দিল্লিতে। সোমবার সকালে দিল্লি থেকে রাজ্যে আসেন মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা। এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।


কুশাভাউ ভবনের খবর, ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলের সংগঠন ও লোকসভা নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সার্বিক পরিস্থিতি খুলে বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।  দলের একাংশ নেতা যে এখনো নানান ভাবে সমস্যা তৈরি করছে, তাও ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা কালে মুখ্যমন্ত্রী দুই আসনের জন্য চারজনের নাম দিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে। কেন মুখ্যমন্ত্রী চারজনের নাম দিয়েছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।


মুখ্যমন্ত্রীর পর দিল্লি তলব করেছে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে। তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তলব পেয়ে রবিবার রাতের শেষ বিমানে দিল্লিতে যান রাজীব।সোমবার সকালে গিয়েছিলেন দিল্লিস্থিত বিজেপির সদর দপ্তরে।সেখানে গিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে রাজ্যের সংগঠনের বর্তমান অবস্থা ও লোকসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিয়ে।আলোচনা করেন। সভাপতি কাছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম জানতে চান। তিনিও দুই কেন্দ্রে মোট ছয় জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম দিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চার জন প্রার্থীর নাম রয়েছে।
  সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহাকে কে বা কারা সমস্যা তৈরি করছেন? তারও অনুপুঙ্খ তথ্য রাজীব ভট্টাচার্যের কাছ থেকে জানতে চান সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব।
            ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দর মহলের খবর, এখন দুই আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেন নি দিল্লি। তবে সম্ভাব্য নাম নিয়ে তারা ঝরাই বাছাই করছেন। শেষ পর্যন্ত কাদের ললাটে বিজেপির টিকিট লাগবে তা বলা এখনো সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় নেতারা এই সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলবেন।প্রদেশ বিজেপির সিনিয়র নেতা হিসাবে তাদের মন্তব্যও শুনবেন বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা নিয়ে খুব সিরিয়াস নাড্ডা – শাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *