
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮ জুন।।
২৪ -র লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। তার প্রথম ধাপ প্রদেশ সভাপতি পরিবর্তন। বীরজিৎ সিনহার পরিবর্তে আশীষ কুমার সাহাকে দেওয়া হয়েছে সভাপতি দায়িত্ব। আশীষ কুমার সাহা কি পারবেন রাজ্য কংগ্রেসের সুদিন ফেরাতে?খোদ এই প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।

আশীষ কুমার সাহাকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি চেয়ারে বসানোর পরপরই কংগ্রেসের সংসারে শুরু হয় মৃদু আগুন। কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যান দলের প্রবক্তা প্রশান্ত ভট্টাচার্য । তার চেয়েও বড় কথা দুই বর্ষীয়ান নেতা বীরজিত সিনহা ও গোপাল রায় এআইসিসির এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। গোপাল রায় নিজেই ছিলেন সভাপতির দৌঁড়ে। শেষ পর্যন্ত তিনি ছিটকে যান। বীরজিত কোনো ভাবেই সভাপতির চেয়ার ছাড়তে চাইছিলেন না।কিন্তু ত্রিপুরায় সুদীপ নির্ভর এআইসিসির পক্ষেও আর কিছু করার ছিলো না।

নেতাদের ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যেই আশীষ কুমার সাহা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আশীষ কি সমস্ত প্রতিকূলতাকে টপকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন? নাকি আশীষ জামানাতেও ম্যার ম্যার করবে কংগ্রেস?২৪- র লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সম্ভবত তিপ্রামথার সঙ্গে জোট হয়ে লড়বে। বিদায় জানাবে ২৩- র বন্ধু সিপিআইএমকে। লোকসভা নির্বাচনে তিপ্রামথার সমর্থনে পশ্চিম আসন থেকে
লড়াই করবে কংগ্রেস। ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে পূর্ব আসনে লড়াই করবে তিপ্রামথা।

রাজনীতিকদের বক্তব্য, ২৪- র নির্বাচন আশীষ কুমার সাহার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আশীষ ব্যর্থ হলে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিপক্ষ গোষ্ঠী।তারা দাবি করবে আশীষ সাহাকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিতে। বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা দারস্থ হবে দিল্লিতে এআইসিসির দরবারে।

এই বিষয়টি বিলক্ষণ জানেন আশীষ কুমার সাহা।তাই আশীষকে বড় চমক দেখাতে হবে।তাহলেই কংগ্রেস এগিয়ে যেতে পারবেন। কারণ ২০২৫ সালে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে পূর ও নগর ভোট। স্থানীয় নির্বাচনেও যদি কংগ্রেসকে দাগ কাটতে হয়, তাহলে এখন থেকে আশীষকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে মাঠে নামতে হবে।

তার আগে ২৪- লোকসভা নির্বাচনে কোন জিয়ন কাঠি দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসকে সক্রিয় করে পশ্চিম আসনে দ্বিতীয় স্থান করা যায় তার অঙ্ক ভালো করে কষতে হবে আশীষ – সুদীপকে। সফল হলে পাশে থাকবে জন সমর্থন। আর ব্যর্থ হলে ভাটা পড়েবে তাদের জনপ্রিয়তা। নেমে আসতে পারে গ্রাফের তলানিতে।বলছেন রাজনৈতিক প্রাজ্ঞরা।