ডেস্ক রিপোর্টার, ১১এপ্রিল।।
         ভোটের মুখেও গাঁজা পাচার। গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে নিয়মিত ভাবে। কখনো পুলিশে জালে আটকে যাচ্ছে গাঁজার চালান।আবার কখনো পুলিশের বজ্র আঁটুনি নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে গাঁজার চালান পৌঁছে যাচ্ছে বহিঃ রাজ্যে।
        সোমবার রাতে আমবাসা থানার পুলিশ আসাম – আগরতলা জাতীয় সড়কের বেত বাগানস্থিত নাকা পয়েন্ট থেকে আটক করে ১২চাকার একটি লরি। এই লরিতে তল্লাসি চালিয়ে পুলিশের চোখ চড়ক গাছ হয়ে যায়।

।।আটককৃত গাঁজা।।

লরিতে ছিলো রাবারের ল্যাটেক্স ভর্তি প্রচুর ড্রাম। ল্যাটেক্স ভর্তি ড্রামের ভিতরেই ছিলো গাঁজার প্যাকেট। ১৪টি ড্রামের মধ্যে মজুত ছিলো শুঁকনো গাঁজা। তার পরিমাণ কত?১২০০ কেজি। জানিয়েছেন ধলাই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র চৌধুরী। সঙ্গে লরির চালক দীনেশ গৌতমকে আটক করেছে বক্তব্য পুলিশ কর্তার।
       

।।ধৃত চালক দীনেশ গৌতম।।

প্রশ্ন হচ্ছে লরি বোঝাই গাঁজা কার? প্রকাশ্যে পুলিশ এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যায় স্মার্ট ভাবেই।জানিয়েছেন, সব খোলসা হবে তদন্তের পর। কিন্তু  পুলিশ কি পেলো? এটা কবে জানবে রাজ্যের মানুষ? কেউ জানেন না। তদন্তকারী পুলিশও সাংবাদিক বৈঠক করে বলবেন না।

।।আটককৃত লরির নম্বর।।

তবে  আমবাসা গাঁজা কাণ্ডের তথ্য উগলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। এই ঘটনার উপর নজর রাখছে নারকোটিক্স ব্যুরোও। কেন্দ্রিয় গোয়েন্দার তথ্য অনুযায়ী, আমবাসা লরি বোঝাই আটককৃত গাঁজার মালিক তপন লস্কর ওরফে লিটু। বাবার নাম সোমেন্দ্র লস্কর। মাদক বাণিজ্যের তথ্য বলছে, মেলাঘরের বাসিন্দা তপন লস্কর দীর্ঘ দিন ধরেই নেশা কারবারের সঙ্গে জড়িত। মেলাঘর থেকেই তার মাদক কারবারের হাতে খড়ি। সেখান থেকেও আস্তানা গাড়ে আগরতলায়। রাজধানীর জয়নগর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় মোটা অঙ্ক দিয়ে বাড়ী ক্রয় করে। আগরতলায় কয়েক বছর থাকার পর তপন ওরফে লিটু চলে যায় কলকাতার বাগুইহাটিতে। এখন বাগুইহাটির নিরাপদ ঠেকে বসেই আন্ত: রাজ্য নেশা বাণিজ্য পরিচালনা করছে তপন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তাকে যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারে। তার উপর ঘুরছে গোয়েন্দার রাডার।


তপন ওরফে লিটু কলকাতা থাকলেও আগরতলাতে অবস্থান করছে তার এজেন্ট তথা লাইনম্যান। গোয়েন্দার কাছে, রয়েছে লাইন ম্যানের নাম – ঠিকানা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার রিপোর্ট অনুযায়ী, তপন লস্করের লাইনম্যানের নাম তন্ময়।শহরের কের চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা। গাঁজা বাণিজ্যের এই ভদ্রবেশী লাইনম্যান নাকি রাজ্যের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালক। তার সঙ্গে নাকি উত্তর জেলা পুলিশের দন্ডমুন্ডের কর্তাদের উঠা বসা। সম্পর্কের বিনিময়েই মাদক কারবারী তপন লস্করকের গাঁজার চালানের রুট পরিষ্কার করে দিয়ে থাকেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালক বাবু। এটা কি রাজ্য পুলিশের নখে দর্পে নেই। নাকি সবটাই অর্থনৈতিক সিস্টেমের “দাস”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *