অতি সম্প্রতি বড়দোয়ালী কেন্দ্রও অপরাধের আখড়া হয়ে উঠেছে। পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি যত দ্রুত আঁচ করতে পারবেন ততই মঙ্গল।
সম্প্রতি শহরের রবীন্দ্র ভবনের সামনেই মন্ডলের প্রথম সারির এক নেতাকে গোল আলু বানিয়ে দেয়, তাঁর বিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতারা। এই নিয়ে জল গড়ায় বহুদূর। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারেও। এই ঘটনার পর মন্ডলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল আরো প্রকট হয়ে যায়। এখনো পরিস্থিতি বেশ উষ্ণ।
বেশ কিছু দিন ধরে নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭ নভেম্বর।। ৮- টাউন বড়দোয়ালী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার নির্বাচনী ক্ষেত্র। বিজেপির রাজনীতিতে টাউন বড়দোয়ালী হয়ে উঠছে অতি স্পর্শকাতর। বিজেপি নিজেরাই এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত।ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বড়দোয়ালী কেন্দ্রে বিজেপির নগ্ন চেহারা সামনে এসেছে। দিন দিন পরিস্থিতি আরো অবনতির পথে। যে কোনো সময় বিজেপির নেতা – কর্মীরা কলঙ্কিত করতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে।তিনি এখন- ই সতর্ক না হলে ঘটতে পারে ভয়াবহ বিপদ।এমনটাই আশঙ্কা করছে বড়দোয়ালী কেন্দ্রের স্থানীয় লোকজন।
অতি সম্প্রতি বড়দোয়ালী কেন্দ্রও অপরাধের আখড়া হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু দিন ধরে নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই।যেকোনো সময় সংঘাতে লিপ্ত হতে পারে দুই নিগোসিয়েশন গ্যাং – র মাতব্বররা।অনেকটা ঊষা বাজারের সিপিডব্লিউডি – র আদলে। বড়দোয়ালী কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠনে শত ছিদ্র। হামেশাই মন্ডল স্তরের নেতাদের মধ্যে চলছে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনা।
।।বিজ্ঞাপন।।
সম্প্রতি শহরের রবীন্দ্র ভবনের সামনেই মন্ডলের প্রথম সারির এক নেতাকে গোল আলু বানিয়ে দেয়, তাঁর বিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতারা। এই নিয়ে জল গড়ায় বহুদূর। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ জমা পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারেও। এই ঘটনার পর মন্ডলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল আরো প্রকট হয়ে যায়। এখনো পরিস্থিতি বেশ উষ্ণ। তার কিছুদিন আগে বড়দোয়ালির যুব নেতারা সংঘ বদ্ধ ভাবে হামলা চালিয়েছিলো দলের এক কর্মকর্তার বাড়িতে। তাও আবার রাস্তার লাইট অফ করে। রাতের আধারে ধারাবাহিক ভাবে বড়দোয়ালী এলাকায় যুবক সংঘ পাড়াতে দলীয় কর্মীর বাড়ীতেই হামলা চালিয়ে ছিলো। এই রকম ঘটনা হামেশাই ঘটছে।
অভিযোগ, বড়দোয়ালী কেন্দ্রের কর্পোরেটরদের কমিশন বাণিজ্য ও জমি দালালি কুটির শিল্পের রূপ নিয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীতে ট্রাফিক অফিসার ও কনস্টেবলের সঙ্গে রাজপথে দুর্ব্যবহার করেছিলো তিন যুবক। এরা সবাই বড়দোয়ালি কেন্দ্রের। তারা গোটা অঞ্চলের ত্রাস। তোলা আদায় নিত্য দিনের ব্যবসা। সন্ধ্যা হলেই বড়দোয়ালী স্কুলের মাঠে প্রকাশ্যে লাল জলের পসরা সাজিয়ে বসে এরা।মানুষের উপর নিপীড়ন তাদের স্বভাব সিদ্ধ চরিত্র।নিজেদের মুখ্যমন্ত্রীর এলাকার গৈরিক সেনা বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
তারা সম্মিলিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজে ছিটিয়ে দিচ্ছে কালির ছিটা।
অতিরিক্ত হিসাবে বিজেপির নেতা – কর্মী থেকে শুরু করে কর্পোরেটরদের তোলা বাণিজ্য থেকে শুরু করে দালালি বাণিজ্য। রগ রগে জমি ব্যবসা। মদ ও অন্যান্য নেশা বাণিজ্যের ঠেক থেকে প্রানামি সংগ্রহ।সবটাই চলছে কালের নিয়ম মেনেই। কিন্তু কাউর কিছু বলার মতো সাহস নেই। তাদের কার্যকলাপের কারণেই গোটা বড়দোয়ালি কেন্দ্রে জাকিয়ে বসেছে অপরাধ। আর অপরাধীরা করেছে সাম্রাজ্য বিস্তার। তারা সম্মিলিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজে ছিটিয়ে দিচ্ছে কালির ছিটা ।