ডেস্ক রিপোর্টার,৩১ অগাষ্ট।।
রাজ্যের প্রধান দুই হাসপাতাল সহ জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্রায়শই রোগী ও তাদের পরিজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের দুর্ব্যবহারের কথা প্রকাশ্যে আসে। সাধারন মানুষ চিকিৎসকদের ঈশ্বর জ্ঞানে দেখেন। কারন তারা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেন। তাই চিকিৎসকদের দুর্ব্যবহারের মুখ বুঝে সহ্য করেও চিকিৎসা করান মানুষ। শুক্রবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কৈলাসহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে।
কৈলাসহর গৌরনগর ব্লকের ফুলবাড়ীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া তার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে আসেন জেলা হাসপাতালে। দুলাল মিয়ার আভিযোগ, তিনি হাসপতালে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি তাতে প্রচন্ড অপমান বোধ করেন।প্রতিবাদে এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে তিনি হাসপতালের সামনেই অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে ধর্নায় বসেন।
পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে তিনি ধর্না আন্দোলন থেকে সরে আসেন।অস্বীকার করার উপায় নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনো আপ টু দ্যা মার্ক হয় নি। তার জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন। তবে একাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন।কিন্তু এক শ্রেণীর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা রোগী ও তাদের পরিজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। এই রকম দৃষ্টান্ত ভুরি ভুরি। সম্প্রতি বাইখোড়া ও আইজিএম হাসপাতালে ছোট্ট কন্যা সন্তান ও নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই দুটি ঘটনার পর চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু মৃতাদের পরিবারের লোকজনের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরে কেউ নেই সত্যিই যদি ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়,তাহলে নিশ্চিত ভাবে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের শাস্তির কাঠগড়ায় ঠেলে পাঠানো উচিত বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তা কি হচ্ছে? না, হাসপাতাল তথা কসাইখানাতে সাধারণ মানুষের বেঘোরে মৃত্যু হলেও, কাউর কিছু আসে,যায় না। শুধু মাত্র পরিবারের লোকজন স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে চেয়ে থাকেন প্রশাসনের দিকে। এটাই বিচিত্র দেশের বিচিত্র রাজ্য ত্রিপুরা।
