ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ ডিসেম্বর।।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা।পৃথিবীর মানচিত্রে এদিন জন্ম নিয়েছিলো নতুন এক দেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মিত্র শক্তি ভারতের বড় ভূমিকা ছিলো।বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছিলো ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধাদের বিক্রমে খড়কুটোর মতো যুদ্ধের ময়দান থেকে উড়ে গিয়েছিলো পাক-হানাদার বাহিনী।এই জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ভারতের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পূর্ণ।ভারতের বিভিন্ন জায়গাতে পালিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
“পার্বত্য ত্রিপুরা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পীঠস্থান।”—-একথা বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ত্রিপুরার প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযুদ্ধারা ঘাঁটি গেড়ে হামলা চালিয়েছিল পাক-হানাদার বাহিনীর উপর।তার জন্য ভারতকে হারাতে হয়েছে তার বহু বীর সেনানীকে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কেন্দ্র করে সাব্রুমের সীমান্ত এলাকা ছোটখিল বিএসএফ ক্যাম্পে ছিলো নানান অনুষ্ঠান। ভারত-পাক যুদ্ধের সময় ছোটখিল বিএসএফ ক্যাম্পে আক্রমণ করেছিলো পাক বাহিনী।সমান ভাবে জবাব দিয়েছিলো ভারতীয় সেনা।কিন্তু যুদ্ধের সময় এই ছোটখিল বিএসএফ ক্যাম্পে বোমা নিক্ষেপ করেছিলো পাক সেনা। শত্রুর ছোড়া বোমায় শহীদ হয়েছিলেন বিএসএফের ৯২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আলফা কোম্পানির হেড কনস্টেবল যশোবন্ত রতন।
এদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ছোটখিল ক্যাম্পে উপস্থিত লোকজনদের সামনে বিএসএফ ৭১-র যুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে।সেই সময় এই ক্যাম্পে বসে ভারতীয় সেনা কিভাবে যুদ্ধের রণ কৌশল তৈরি করেছিলো এবং কিভাবে শত্রু পক্ষের উপর হামলা করেছিলো সেই সংক্রান্ত ভিডিও রেকর্ডিং দেখানো হয় ক্যাম্পে।এলাকার বিভিন্ন স্কুলের উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ নাগরিকরা ভিডিওতে দেখেন কিভাবে ভারতীয় সেনা অসীম বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছিলো পাক-হানাদার বাহিনীর সঙ্গে। বর্তমানে ছোটখিল ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ১০৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ন।
এদিন শুরুর আগে শহীদের স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে তাদের স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সাব্রুমের পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকার বসাকপাড়ার বাসিন্দার তথা বিএসএফের ৯০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রাক্তন জওয়ান খোকন বসাকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে যে সমস্ত ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানদের অবদান ছিলো তাদের পরিবারের সদস্যরাও ছোটখিল ক্যাম্পের অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বিএসএফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ১০৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কোম্পানির ডেপুটি কমান্ডেন্ট ডি এস রাওয়াত। ইন্সপেক্টর কুমার ধীরাজ।এছাড়া এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *