
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
ঢাল – তলোয়ালহীন রাজ্যের বন দপ্তর। বন কর্মী ও বন দস্যুদের গাড়ির সংঘর্ষে আহত বনরক্ষীরা।বন কর্মীদের আহত করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেলো বনদস্যুরা।অর্থাৎ বনদস্যুরা ফস্কে গেলো বন কর্মীদের হাত থেকে ।এই চিত্র নাট্য হার মানায়হিন্দি সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও।অন্তরালে নাকি নগদ নারায়ণের লেনদেন!
মঙ্গলবার সকালে রুটিন মাফিক টহলে বের হয়
তেলিয়ামুড়ার বনদপ্তরের কর্মীরা। এই সময় তাদের নজরে আসে একটি কাঠ বোঝাই বলেরো গাড়ি। উপস্থিত বন কর্মীরা আশঙ্কা করে গাড়িতে থাকা কাঠ গুলি অবৈধ। তখন তারা কাঠ বোঝাই গাড়ির পিছু নেই।বিষয়টি আঁচ করতে পারে বনদস্যুরা। এক সময় বন রক্ষীরা পৌঁছে যায় বন দস্যুদের গাড়ির কাছে।তখন বন দস্যুদের বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা দেয় বনরক্ষীদের গাড়ীকে। এবং মুহূর্তেই কাঠ বোঝাই গাড়ি নিয়ে বনদস্যুরা পালিয়ে যায়। জানিয়েছেন ফরেস্টার অভিনাশ নাথ।

ফরেস্টার অভিনাশ নাথ বলেছেন, বনদস্যুদের গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন বন কর্মীরা। বন কর্মীরা আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে গেছেন। এই ভয়ে তারা কল্যাণপুর হাসপাতালে না গিয়ে চলে আসেন তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে।এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন। ফরেস্ট অফিসার অভিনাশ নাথের বক্তব্য থেকেই স্পস্ট বনকর্মীরা এখন বন দস্যুদের সঙ্গে লড়াই করে পারছেন না। খোদ বনকর্মীরা ভয় পাচ্ছেন বন দস্যুদের। এটা কি করে হয়?

এটা বাস্তব রাজ্যের বনরক্ষীরা ঢাল – তরোয়ালহীন নিধি রাম সর্দার।তাদের দিকে কাউর নজর নেই। বন দপ্তরের সব কয়টি সাব ডিভিশনে বাস্তু ঘুঘুর বাসা।ব্যতিক্রম নয় তেলিয়ামুড়া সাব- ডিভিশন।

মঙ্গলবার কল্যাণপুরের এই ঘটনার পেছনেও নাকি বড় রহস্য রয়েছে।অন্তরালে হয়েছিলো কাঞ্চনমূল্যের লেনদেন। বন কর্মীদের নজরে বনদস্যুদের কাঠ বোঝাই গাড়ি নজরে আসতেই আর্থিক লেনদেনের স্ক্রিপ্ট রচনা করে ফেলেছিলেন বন কর্মীরা।