বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মহম্মদ শফিকুল ইসলাম স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, “ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল মাসুদ করিম ও আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়ে গিয়েছে
কি না, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তাছাড়া হাদি হত্যার সঙ্গে ভারতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ ডিসেম্বর।।
          বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষী যুবনেতা তথা ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক ওসমান হাদির খুনিরা ভারতে আত্মগোপন করেছে।খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে ভারত সরকার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ ভারতকে দোষীর কাঠ গড়ায় তুলে। এবং গোটা বাংলাদেশ জুড়ে বপন করা হয় ভারত বিদ্বেষী বীজ। মো: ইউনূসের দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে খোদ বাংলাদেশের সিআইডি।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মহম্মদ শফিকুল ইসলাম স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, “ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল মাসুদ করিম ও আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়ে গিয়েছে
কি না, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়।
অভিবাসন সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে ফয়সাল বা আলমগীরের দেশ ছা়ড়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” অবৈধ ভাবে সীমানা পেরিয়ে তাঁরা অন্য দেশে চলে গিয়েছেন কি না তাও স্পষ্ট নয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।
     বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,  ১২৭ কোটি বাংলাদেশি মুদ্রার লেনদেন করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির হত্যায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল মাসুদ করিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠেরা। ধারণা করা হচ্ছে, হাদিকে খুন করার জন্যই ফয়সলকে দেওয়া হয়েছিলো মোটা অঙ্কের অর্থ। তাহলে কে বা কারা ওসমান হাদিকে হত্যার জন্য ফয়সলকে এতো টাকা দিয়েছিলো? হাদি হত্যার স্ক্রিপ্ট রচনাকারীদের উদ্দেশ্যই বা কি ছিলো? এখন পর্যন্ত সবই ধোঁয়াশা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *