তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,৮মে।।
বনদস্যুদের গোপন ডেরায় অভিযানে গিয়ে রক্তাক্ত তিন বনকর্মী।তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাম শংকর গোয়ালার (৫৮)। তাঁর চিকিৎসা চলছে জিবি হাসপাতালে।বাদবাকি দুই বনকর্মীর তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনা শনিবার গভীর রাতে।ঘটনাস্থল মুঙ্গিয়াকামি থানাধীন শালবাগান। বনকর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত বনদস্যুদের একটি কাঠ বোঝাই মারুতি ভ্যান ও মোটর বাইক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গোটা তেলিয়ামুড়াতেই বনদস্যু আস্ফালন।এটা অবশ্যই নতুন। ধারাবাহিক ভাবেই যুগের পর যুগ চলে আসছে। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বনদস্যুদের বিরুদ্ধে কড়া মানোভাব দেখাতে পারেনি বনকর্মীরা। তাসত্বেও শনিবার গভীর রাতে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের বনকর্মীরা অভিযান চালায় মুঙ্গিয়াকামির শালবাগানস্থিত বনদস্যুদের গোপন ডেরায়। এই সময় বন মাফিয়ার কাঠ পাচারে ব্যাস্ত ছিলো। বনকর্মীরা খুব সন্তর্পনে প্রবেশ করে গভীর জঙ্গলে বনদস্যুদের রচিত চক্রব্যূহ। বনকর্মীদের দেখে ৩০-৪০জন বনদস্যু ঝাঁপিয়ে পড়ে । এবং অতর্কিত আক্রমণ শুরু করে। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বনকর্মীরা। বনদস্যু ও বনকর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। বেশ কিছু সময় জঙ্গলের ভিতর দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলে।তাতে তিন বনকর্মী রক্তাক্ত হন।একসময় বনকর্মীদের বিক্রমের কাছে হার মানে বনদস্যুরা। শেষ মুহূর্তে বনদস্যুরা তাদের কাঠ বোঝাই মারুতি (টি আর ০১-০০৮১)ও মোটর বাইক ফেলে অকুস্থল থেকে চম্পট দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় অতিরিক্ত বনকর্মী সহ পুলিশ।রক্তাক্ত অবস্থায় তিন বনকর্মীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে। রক্তাক্ত ফরেস্ট গার্ড শংকর গোয়ালার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়াতে তাকে পাঠানো হয় জিবি হাসপাতালে। পেছন থেকে তাঁর মাথায় আঘাত করে বনদস্যুরা। জানিয়েছে তেলিয়ামুড়া বন দপ্তর কর্তৃপক্ষ।
বনদপ্তর সূত্রের খবর, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বনকর্মীদের পক্ষ থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।তবে এখন পর্যন্ত বনদস্যুদের গ্রেফতারের কোনো খবর নেই। বাস্তব অর্থে কি বনদস্যুদের গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ? নাকি তার আগেই উল্টে তদন্তকারী পুলিশের হাতে পড়ে যাবে “নাগপাশ”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *