ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮আগস্ট।।
           হিন্দু শাস্ত্র মতে দেবাদিদেব মহাদেব হলেন সংহার কর্তা। কিন্তু কোথায় আছেন দেবাদিদেব? খোদ তার মন্দিরেই সংহার চালিয়েছে স্ব – ঘোষিত রাষ্ট্রবাদী গুন্ডারা। রাষ্ট্রবাদীদের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত। এবং এক শিব ভক্তকে রাষ্ট্রবাদী গুন্ডারা করেছে রক্তাক্ত। এখন কোথায় আরএসএস, বিশ্বহিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতারা? তাদের কর্ন কুহরে কি পৌঁছবে শিব ভক্তের আত্ম চিৎকার? না, কারণ তারা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রবাদী নাম ফেরী করে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত। ত্রিপুরা রাজ্যে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা
ভাওতাবাজ।


বিলোনিয়া মহকুমার ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সোনাইছড়ি এলাকা। এই এলাকায় দীর্ঘ বছর আগেই গড়ে উঠেছিলো সলেফা শিব মন্দির। সলেফা একজন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনি ছিলেন শিব ভক্ত। নিজের জমিতে নিজ হাতেই গড়ে ছিলেন মন্দির। সলেফা নিজের সমস্ত জমি, রাবার বাগান মন্দিরের নামে দান করে দিয়েছিলেন। আজ থেকে তিন দশকের অধিক সময় আগে সালেফা প্রয়াত হন।তার মৃত্যুর পর  জৌলুস কমে যায় শিব মন্দিরের। বন্ধ হয়ে যায় নিয়মিত পূজা।তবে শিব রাত্রিতে এখানে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে হতো পূজা অর্চনা।

।।নিখোঁজ মন্দিরের পুরোহিত।।

১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর চোখ খুলে স্থানীয় রাষ্ট্রবাদী নেতাদের। তাদের কু – নজরে পড়ে সলেফা শিব মন্দির। মন্দিরের জমি, রাবার বাগান, পুকুর সহ সমস্ত সম্পত্তি থেকে রোজগার শুরু করে বিজেপির স্থানীয় হোমরা চোমরা নেতারা। শেষ পাঁচ ধরে মন্দিরের রাবার বাগান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার রাবার বিক্রি করেছে এরা। বিক্রি করেছে পুকুরের মাছ ও গাছ- গাছালি।


সোনাই ছড়ির কোন কোন রাষ্ট্রবাদী নেতা শিব মন্দিরের নাম বিক্রি করে খাচ্ছেন? তারা হলো
জয়ন্ত মজুমদার,সারদা চৌধুরী, বিজয় পাট্টারি, কল্যাণ দে,দীপঙ্কর মজুমদার, শঙ্কর মজুমদার। তারা সামনের সারিতে দাড়িয়ে ভগবান শিবের সম্পত্তি লুঠ করছেন।

।।আক্রান্ত ভক্ত অমিত রায়।।

কিন্তু নেপথ্যে কে? তিনি ঋষ্যমুখ মণ্ডলের একজন রাঘব বোয়াল তোলাবাজ নেতা বাদল ভৌমিক। ভেকধারী রাষ্ট্রবাদী বাদল ভৌমিক ঋষ্যমুখ মণ্ডলের সহ-সভাপতি।
   

।।মাষ্টার মাইন্ড বাদল ভৌমিক।।

সম্প্রতি সলেফা মন্দিরের জরাজীর্ণ অবস্থার হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন স্থানীয় যুবক অমিত রায়। তিনি নিজেও একজন শিব ভক্ত। মন্দিরে নিয়মিত শিব পূজার জন্য অমিত একজন পুরোহিতকে নিয়ে আসেন। নিজের ঘাটের পয়সা খরচা করে পাল্টে দেন শিব মন্দিরের চাল চিত্র। সপ্তাহে একদিন করে মন্দিরে হয় নারায়ণ সেবা।

।।মন্দিরে নারায়ণ সেবা।।

এলাকার দিন দরিদ্র বাচ্চাদের মুখে তুলে দেন অন্ন। ভগবান শিবকে প্রতিদিন দেওয়া হয় ভোগ।ধীরে ধীরে মন্দিরে বাড়তে থাকে শিব ভক্তদের ভিড়। আর তাতেই আতকে উঠেন এলাকার রাষ্ট্রবাদী নেতা বাদল ভৌমিক ও তার সাগরেদরা। তারা বুঝে যায় শিব ভক্তদের সমাগম বাড়লে মন্দিরে রাষ্ট্রবাদী গুন্ডাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।


বৃহস্পতিবার অমিত রায় মন্দিরে যাওয়ার পর তার উপর প্রাণঘাতি হামলা চালায় বিজেপির নেতা বাদল ভৌমিকের লোকজন।  জয়ন্ত মজুমদার,সারদা চৌধুরী, বিজয় পাট্টারি, কল্যাণ দে,দীপঙ্কর মজুমদার, শঙ্কর মজুমদাররা অতর্কিত ভাবে হামলা করে শিব ভক্ত অমিত রায়কে। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের পুরোহিতকে মারধরের চেষ্টা করে। ভয়ে পুরোহিত পালিয়ে যান।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একথা নিজেই জানিয়েছেন অমিত রায়।

।।মন্দিরে হামলাকারী দুষ্কৃতীরা।।

আক্রান্ত অমিত রায় পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন, তার এই ঘটনার পেছনে রয়েছে ঋষ্যমুখ মণ্ডলের নেতা বাদল ভৌমিক। তার নির্দেশেই মন্দির প্রাঙ্গণে হয়েছে হামলা।


গোটা ঋষ্যমুখ এলাকায় অরাজকতা শুরু করেছেন মণ্ডলের সহ সভাপতি বাদল ভৌমিক।তার সঙ্গে আছেন মণ্ডলের সম্পাদক নকুল পাল, বিশ্বজিৎ মিত্র, সঞ্জু নম,রাজীব পাল, রাজীব নাথ ওরফে কেলো রাজু সহ আরো অনেকেই।


কিন্তু কোথায় আছেন ঋষ্যমুখ মণ্ডলের সভাপতি সুশঙ্কর ভৌমিক?তিনি কি মুক ও বধির হয়ে গেছেন?নাকি বাদল ও তার সাগরেদদের অবৈধ কামাইয়ের টু – পাইস পৌঁছে যাচ্ছে সু-শঙ্করের বিশ্বস্ত পকেটে?


তাই হয় তো বা সব দেখেও তিনি নিশ্চুপ থাকেন। এবং তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন গোটা ঘটনা গুলি। প্রশ্ন জনমনে।

।।মণ্ডল সভাপতি সুশঙ্কর ভৌমিক।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *