ডেস্ক রিপোর্টার, ১২ নভেম্বর।।
দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে ফরিদাবাদে এক কাশ্মীরি চিকিৎসকের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬০ কেজি বিষ্ফোরক ( অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট)।সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুলিশ গ্রেফতার করেছে চিকিৎসককে।
ফরিদাবাদ পুলিশ কমিশনার সতেন্দ্র কুমার গুপ্তা জানিয়েছেন, সোমবার প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে ফরিদাবাদ এবং জম্মু- কাশ্মীর পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে চিকিৎসকের গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুজাম্মিল শাকিল হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। ধৃত চিকিৎসক কাশ্মীর পুলিশের একজন ওয়ান্টেড আসামী ছিলো।শ্রীনগরে সন্ত্রাসী সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ কমিশনার সতেন্দ্র কুমার গুপ্তার ভাষায়,অভিযান চলাকালে চিকিৎসকের ঘর থেকে প্রায় বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছাড়াও একটি ক্যারম কক রাইফেল, দুটি স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, ৮৪টি কার্তুজ, পাঁচ লিটার রাসায়নিক, ব্যাটারি সহ ২০টি টাইমার এবং ১৪টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফরিদাবাদে কাশ্মীরের চিকিৎসকের ভাড়া বাড়ি থেকে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে ভয়ানক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে এখন পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০- র অধিক। ফরিদাবাদে বিষ্ফোরক উদ্ধার কাণ্ডের সঙ্গে দিল্লির বিস্ফোরণের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছে এনআইএ।
কাশ্মীরের ধৃত চিকিৎসক কেন ফরিদাবাদ ভাড়া বাড়িতে বিস্ফোরক সহ আগ্নেয়াস্ত মজুত করেছিল? কি ছিলো তার উদ্দেশ্য? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ – গোয়েন্দা।

