বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থি। এটা দুই বাংলা এক করার জন্য বঙ্গভঙ্গ রদের সময় উপস্থাপন করা হয়েছিল। এই জাতীয় সঙ্গীত দুই বাংলাকে এক করার জন্য করা হয়। এটা কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে?
বাংলাদেশের সংবিধানে লেখা আছে জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক। কিন্তু জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক নয়। সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহর আইনের বিরোধী কোনও আইন পাস হতে পারে না। সুতরাং সংবিধানে একটা আইন সংযোজন করে মুসলিম চেতনার আইন করতে হবে।
সংবিধানে সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্যায় হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নাই।
ঢাকা ডেস্ক, ৫ সেপ্টেম্বর।।
জাতীয় সঙ্গীত ও সংবিধান পরিবর্তনের দাবিতে তপ্ত গোটা বাংলাদেশ। মানুষ পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। মূলত রাজাকার বাহিনী চাইছে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে। এবং সঙ্গে সংবিধানও।সম্প্রতি এই দুই দাবিতে আরো ঘী ঢেলে দিয়েছেন একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রাক্তন আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। ৮ বছর ‘গুম’ থাকার পর গত ৭ আগস্ট মুক্তি পান তিনি। আযমীর দাবি, তাকে রাখা হয়েছিল হাসিনার আয়না ঘরে।কিন্তু তার বক্তব্যের অসংলগ্নতা বাংলাদেশের জন মনে প্রশ্ন উঠছে। আদৌ কি কোন আয়না ঘর ছিলো?
ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। তিনি বলেন,” আমার বড় অপরাধ আমি অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে। আমি ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। গুপ্ত বন্দি থাকাকালীন আমাকে একজন বলেছেন, আপনি বিদেশি শক্তির গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। এই কারণে আমাকে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে আপনি ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার কেন?
আরো খবর পড়ুন
https://janatarmashal.com/tripura-news-desecration-of-indian-national-flag-in-bangladesh/
বাংলাদেশের একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা ও জাতীয় সঙ্গীত প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, “বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থি। এটা দুই বাংলা এক করার জন্য বঙ্গভঙ্গ রদের সময় উপস্থাপন করা হয়েছিল। এই জাতীয় সঙ্গীত দুই বাংলাকে এক করার জন্য করা হয়। এটা কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে? এই সঙ্গীত ১৯৭১ সালে ভারত চাপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের উপর। জাতীয় সঙ্গীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত একটা নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।
মুসলমানদের আল্লাহর আইনের বিরোধী কোনও সংবিধান থাকতে পারবে না।
বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করা একটা বিরাট ব্যাপার। সংবিধানে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্যায় হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নাই। এটা বাতিল করতে হবে। মানবাধিকার পরিপন্থি যত আইন আছে, এগুলো বাতিল করতে হবে। নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। দেশের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার আবেগের প্রতিফলন হতে হবে।
আরো খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1830918175623684467?t=xx7MphFcNpucvuNwAG2Blg&s=19।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ হচ্ছে একটি মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে প্রায় ৯০ ভাগের বেশি মুসলমান রয়েছে। মুসলমানদের আল্লাহর আইনের বিরোধী কোনও সংবিধান থাকতে পারবে না। আমাদের সংবিধানে লেখা আছে জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক। কিন্তু জনগণ সার্বভৌমত্বের মালিক নয়। সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহর আইনের বিরোধী কোনও আইন পাস হতে পারে না। সুতরাং সংবিধানে একটা আইন সংযোজন করে আমাদের মুসলিম চেতনার আইন করতে হবে।