সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, আইএসকেপির বেলুচিস্তান সমন্বয়কারী মীর শফিক মেঙ্গাল লস্কর-ই-তৈবার সিনিয়র কমান্ডার রানা মহম্মদ আশফাককে একটি পিস্তল উপহার দিচ্ছে। এই ছবিটি প্রমাণ করে যে দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সমন্বয় তৈরি হয়েছে। ভারতের গুপ্তচর সংস্থা গুলির মতে এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

ডেস্ক রিপোর্টার,৯ অক্টোবর।।
          পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই- র মদতে এখন থেকে একজোট হয়ে কাজ করবে দুই বিশ্ব ত্রাস জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-খোরাসান প্রভিন্স এবং লস্কর-ই-তৈবা।এমনটাই দাবী গোয়েন্দার। এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠী একে অপরের সঙ্গে হাত মেলানোর কারনে উদ্বেগ বেড়েছে ভারতেরও।নব গঠিত এই জঙ্গি জোটকে কেবল আফগানিস্তানের বেলুচ বিদ্রোহী এবং তালেবান-বিরোধী গোষ্ঠীগুলির জন্যই হুমকি নয়, বরং জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
        সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, আইএসকেপির বেলুচিস্তান সমন্বয়কারী মীর শফিক মেঙ্গাল লস্কর-ই-তৈবার সিনিয়র কমান্ডার রানা মহম্মদ আশফাককে একটি পিস্তল উপহার দিচ্ছে। এই ছবিটি প্রমাণ করে যে দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সমন্বয় তৈরি হয়েছে।
ভারতের গুপ্তচর সংস্থা গুলির মতে এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। বেলুচিস্তানের প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী নাসির মেঙ্গালের ছেলে মীর শফিক মেঙ্গালকে দীর্ঘদিন ধরে আইএসআই-র ‘প্রাইভেট ডেথ স্কোয়াড’ নেতা হিসেবে বলা হয়। ২০১৫ সাল থেকে, তিনি আইএসকেপির প্রধান অর্থায়নকারী এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের নিজস্ব তদন্তকারী সংস্থাগুলির প্রকাশিত জেআইটি রিপোর্টেও তার নাম ছিল। অন্যদিকে, রানা মহম্মদ আশফাক হল লস্কর-ই-তৈবার বর্তমান নাজিম-ই-আলা, যে পাকিস্তানজুড়ে নতুন জঙ্গি প্রশিক্ষণ এবং মগজ ধোলাই কেন্দ্র খোলার নেপথ্যে রয়েছে।

আইএসআই-র সহায়তায়, আইএসকেপি পাকিস্তানের মাস্তুং ও খুজদার জেলায় দুটি প্রধান অপারেশনাল ঘাঁটি তৈরি করেছে।

গোয়েন্দার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আইএসআই-র সহায়তায়, আইএসকেপি পাকিস্তানের মাস্তুং ও খুজদার জেলায় দুটি প্রধান অপারেশনাল ঘাঁটি তৈরি করেছে। মীর মেঙ্গাল এই শিবিরগুলির দায়িত্বে আছে এবং তার মাধ্যমে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করা হয়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে, বেলুচ বিদ্রোহীরা মাস্তুং শিবিরে আক্রমণ করে এবং ৩০ জনেরও বেশি আইএসকেপি জঙ্গিকে হত্যা করে। এরপর আইএসআই এই বিষয়ে লস্কর-ই-তৈবাকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। ২০২৫ সালের জুন মাসে, লস্কর-ই-তৈবা প্রধান রানা আশফাক ব্যক্তিগতভাবে বেলুচিস্তানে আসে এবং সেখানে একটি জিগরা (সমাবেশ) আয়োজন করে। সেখানে বেলুচ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা হয়।


আইএসকেপির প্রচারণামূলক ম্যাগাজিন, ইয়ালগারের সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলিতে কাশ্মীরে অভিযান বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রের মতে, আইএসকেপির প্রচারণামূলক ম্যাগাজিন, ইয়ালগারের সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলিতে কাশ্মীরে অভিযান বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে পাকিস্তান এখন এই জোটকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  আইএসআই এখন তার হাইব্রিড যুদ্ধের এজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন মতাদর্শের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে একত্রিত করে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *