#Tripura # India #Israel #Palestine# Saudi# Arab#Janatar#Mashal
“ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কোনো বাস্তবসম্মত লক্ষ্য হতে পারে না।আর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে সেটা হবে হামাসের রাষ্ট্র।’” : গিডিয়ন সার
।রিয়াদের আরব দেশগুলির অনুষ্ঠিত বৈঠক।
ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ, বেসামরিক মানুষজনকে রক্ষা, ফিলিস্তিন ও লেবাননের নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানো, নিজেদের অবস্থান নিয়ে ঐকমত্য তৈরি, চলমান হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ তৈরি। একই ভাবে মধ্যপ্রাচ্যে কীভাবে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরানো যায়? এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে সম্মেলনে।
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।। বিশ্ব জুড়ে কি তৈরি হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের অবাহ ? অন্তত আরব দেশ গুলির ঘন ঘন বৈঠক এমনটাই ইঙ্গিত করছে। তারাও সংঘ বদ্ধ হয়ে হামলা চালাতে পারে শত্রু পক্ষের উপর।তাহলে বিশ্ব যুদ্ধ যে কড়া নাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই পরিস্থিতি তৈরি হলে গোটা বিশ্বে মুসলিম – অমুসলিম বিভক্ত হয়ে অবতীর্ণ হবে ব্যাটেল ফিল্ডে। তখন বিশ্বের মানব সম্পদের কি অবস্থা হবে? এটা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বিশ্ব নেতারা। তারপরও কি হবে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ? পৃথক দুই রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার বৈঠকে করেছেন আরব বিশ্বের নেতারা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি লেবানন সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চলমান সামরিক সংঘাত বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ এবং এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয় আরব-ইসলামিক সম্মেলনে।গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে গত অক্টোবরের শেষদিকে রিয়াদে আরব নেতাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।সেই সম্মেলন শেষে নভেম্বরের শুরুতেই আবার সম্মেলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা বিশ্ব রাজনীতির জন্য যথেষ্ট তাৎপর্য পূর্ন। এবং বিপদও বটে।
ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসন আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের জরুরি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে,ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসন আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের জরুরি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ, বেসামরিক মানুষজনকে রক্ষা, ফিলিস্তিন ও লেবাননের নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানো, নিজেদের অবস্থান নিয়ে ঐকমত্য তৈরি, চলমান হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ তৈরি। একই ভাবে মধ্যপ্রাচ্যে কীভাবে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরানো যায়? এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে সম্মেলনে।
।।সৌদি প্রেস এজেন্সির সদর দপ্তর।।
রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু ও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সহ আরো অনেক রাষ্ট্র নেতা। তবে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ততার কারণে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সম্মেলনে যান নি।
আরব বিশ্বের এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইল কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে প্রত্যাখ্যান করছি।”
সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এদিকে দুই রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে রিয়াদে সম্মেলন শুরুর মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের বিদেশ গিডিয়ন সার বলেছেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কোনো বাস্তবসম্মত লক্ষ্য হতে পারে না।আর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে সেটা হবে হামাসের রাষ্ট্র।’”
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সারের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির চিত্র কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে? ইসরায়েলও গোটা বিশ্ব জুড়ে নিজেদের সমর্থনে তৈরি করছে জনমত।এবার পাল্টা মাঠে নেমেছে আরব দেশগুলি। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত জল কোন দিকে গড়ায়।