একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ পর্বকে কিভাবে ‘টাকার কলে’ পরিণত করা যায় এটা দেখিয়ে দিয়েছেন তিমির – তাপস – জয়নালরা।
।ফ্লাড লাইট কেলেঙ্কারির ত্রি-মূর্তি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে থাকা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম গুলিতে প্যাভিলিয় হয় মাঠের উওর – দক্ষিণ দিকে। কিন্তু পলিটেকনিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে পশ্চিম দিকে। হাস্যকর ! একই ভাবে গোটা দেশের স্টেডিয়াম গুলিতে প্রোডাকশন সেন্টার করা হয়ে থাকে আন্ডার গ্রাউন্ডে । কিন্তু পলিটেকনিক স্টেডিয়ামে প্রোডাকশন সেন্টার করা হয়েছে মিডিয়া সেন্টারের পাশে।
স্পোর্টস ডেস্ক ,১২ নভেম্বর।। নরসিংগড় পলিটেকনিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম জন্ম লগ্ন থেকেই দুর্নীতির অক্টোপাসে ঘেরা। তার মধ্যে অন্যতম স্টেডিয়ামের “ফ্লাড লাইট” । পাশাপাশি স্টেডিয়ামের কনস্ট্রাকশনে হয়েছে মস্ত বড় ভুল। আর তা নিয়ে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাতব্বরদের তুলোধুনো করেছিলেন আইপিএল – র চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল। আসলে রাজ্যের ধনী ক্রীড়া সংস্থার অভিভাবকরা বারবার নিজেদের কায়েমী স্বার্থের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ব্যবহার করছে ” গৌরি সেনের মধুর ভাণ্ড ” হিসাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত টিসিএ- র দুর্নীতিবাজ কর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। কারণ তারা প্রত্যেকেই কৃষ্ণনগরের গৈরিক নীড়ের বিশ্বস্ত সৈনিক।
ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের জন্য প্রথমে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।
ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নরসিংগড় পলিটেকনিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এই অর্থ রাশির উপরেই দেওয়া হয়েছিলো টেন্ডার। টিসিএ – র বর্তমান কার্যকর্তাদের অভিযোগ, “ক্রিকেট সংস্থার তৎকালীন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা তিমির চন্দ , তাপস ঘোষ ও জয়নাল দাসরা অনৈতিক ভাবে ফ্লাড লাইটের অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ছিলো। এমন ঘটনা দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে বিরল। অর্থ রাশির পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছিল ২৬.৫ কোটি।”
এই দূর্নীতির কারণেই তিমির – তাপস – জয়নাল,কালা মানিকদের বিরুদ্ধে রাজপথে হয়েছিল পোস্টারিং।
অভিযোগ, তাপস – তিমির – জয়নালরা ফ্লাড লাইটের অর্থ রাশি বাড়ানোর সময় এপেক্স বডির কোনো অনুমতি নেয় নি। তারা ১২ কোটি টাকা নির্মাণ সংস্থাকে প্যমেন্টও করে দিয়েছিলো। অবশ্যই এই টাকা থেকে তিমির – জয়নাল – তাপসদের বিশ্বস্ত পকেটে যে গিয়েছে মোটা অঙ্কের কমিশন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। টিসিএ’ তে পা রাখলেই শোনা যায় এই গুঞ্জন।এই ত্রয়ী টিমের সঙ্গে ছিলো বিলোনিয়ার সমাজদ্রোহী কালা মানিক। এই দূর্নীতির কারণেই তিমির – তাপস – জয়নালদের বিরুদ্ধে রাজপথে হয়েছিল পোস্টারিং।
ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাতব্বররা নাকি মস্ত বড় ভুল করেছে স্টেডিয়ামের ড্রয়িংয়েও। বিশেষজ্ঞ বস্তুকারদের কথায়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে থাকা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম গুলিতে প্যাভিলিয় হয় মাঠের উওর – দক্ষিণ দিকে। কিন্তু পলিটেকনিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে পশ্চিম দিকে। হাস্যকর ! একই ভাবে গোটা দেশের স্টেডিয়াম গুলিতে প্রোডাকশন সেন্টার করা হয়ে থাকে আন্ডার গ্রাউন্ডে । কিন্তু পলিটেকনিক স্টেডিয়ামে প্রোডাকশন সেন্টার করা হয়েছে মিডিয়া সেন্টারের পাশে।
।।রাজ্যের মানুষের স্বপ্নের অপমৃত্যু।।
টিসিএ’র সম্প্রতি অতীত ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বেলেল্লাপনার জন্য ড্রয়িং করা হয়েছে মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, “প্রোডাকশন সেন্টার আন্ডার গ্রাউন্ডে করা হলে স্টেডিয়ামে আরো ৫০০ আসন সংখ্যা বেশি হত। তাতে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ বা আইপিএল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারতো টিসিএ। কিন্তু টিসিএ’র সাম্প্রতিক অতীত ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বেলেল্লাপনার জন্য ড্রয়িং করা হয়েছে মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো।
।।ক্রিকেট এসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটি।।
যদি তাপস – তিমির – জয়নাল দোষ করে থেকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন টিসিএ সভাপতি তপন লোধ?
রাজ্যের ক্রিকেট অঙ্গনের লোকজনের বক্তব্য, একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ পর্বকে কিভাবে টাকার কলে পরিণত করা যায় এটা দেখিয়ে দিয়েছে তিমির – তাপস – জয়নালরা। অবশ্যই দায় এড়াতে পারবেন না বর্তমানে টিসিএ ব্যাটন হাতে থাকা তপন লোধ – সুব্রত দে ‘ র নেতৃত্বাধীন পরিচালন কমিটি। তারাও কি ধোয়া তুলসী পাতা ? যদি তাপস – তিমির – জয়নাল দোষ করে থেকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন টিসিএ সভাপতি তপন লোধ? তাপস – তিমির – জয়নালদের জামানায় তিনিই তো ছিলেন টিসিএ- র সভাপতির চেয়ারে। তাহলে এতো দেরি কেন?