শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর নামে টাউন হলের নামকরণ ঘোষণা দিয়েই স্ব – দলীয় নেতারা লিপ্ত হয়েছে ষড়যন্ত্রে। তারা বেছে নিয়েছে শিখন্ডী প্রদ্যুৎকে। আর পরিকল্পিত স্ক্রিট অনুযায়ী প্রদ্যুৎ নিজেকে পর্দার আড়ালে রেখে তাঁর আর্দালি বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মাকে ফ্রী হ্যান্ড দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ৭ জুলাই।।
                              তিপ্রামথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ কিশোরকে শিখন্ডী করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে প্রথম সারির কয়েকজন স্বদলীয় নেতারা । এমনই আভিযোগ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের। আভিযোগ,ডাঃ মানিক সাহাকে
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে টেনে নামাতে এক হয়েছে রাজনীতির  ছয় হাত। তার মধ্যে চার হাত মানিক সাহার দলের। দুই হাত শাসক জোটের প্রধান শরিকের।

ড.শ্যামা প্রসাদ   মুখার্জী ছিলেন জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা। জনসংঘই পরবর্তী সময়ে ভারতীয় সেনা পার্টিতে রূপান্তরিত হয়।

রাজ্যের মুখ্যন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা রবিবার আগরতলা শহরের টাউন হলের নাম পরিবর্তনের ঘোষনা দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা ছিলো, এখন থেকে টাউন হলের নামকরণ হবে ভারত কেশরী ড: শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির নামে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা ছিলো, তাঁর দলের লাইন মেনেই।কারণ, ড.শ্যামা প্রসাদ   মুখার্জী ছিলেন জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা। জনসংঘই পরবর্তী সময়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে রূপান্তরিত হয়। তাছাড়া দেশের মধ্যে বাঙালির একমাত্র ঘোষিত রাজ্য বাংলার জনক বলা চলে শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীকে। তাঁর মরণ পণ প্রচেষ্টাতেই পশ্চিম বাংলাকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি তৎকালীন শাসকরা। ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশ মানুষ বাঙালি। এই ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর নামে টাউন হলের নামকরণের  ঘোষণা দিয়ে বিজেপির জন্য বাঙালি ভোট ব্যাঙ্ক  আরো শক্তিশালী করেছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

।।ড: শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী।।

ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দর মহলের খবর, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর নামে টাউন হলের নামকরণ ঘোষণা দিয়েই স্ব – দলীয় নেতারা লিপ্ত হয়েছে ষড়যন্ত্রে। তারা বেছে নিয়েছে শিখন্ডী প্রদ্যুৎকে। আর পরিকল্পিত স্ক্রিট অনুযায়ী প্রদ্যুৎ নিজেকে পর্দার আড়ালে রেখে তাঁর আর্দালি বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মাকে ফ্রী হ্যান্ড দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে।

তাই বাঙালির রক্ত পিপাসু হায়না রঞ্জিত দেববর্মা সোমবার রাজধানীতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। নরমে – গরমে হুমকি দিয়েছেন। রঞ্জিতের বক্তব্য, শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর নামে টাউন হলের নামকরণ করা যাবে না। রঞ্জিত ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে। কারণ বড়মুড়া ও গন্ডাছড়ার নাম পরিবর্তন করে ককবরক ভাষায় নাম রেখেছেন।.


রঞ্জিত দেববর্মার মতো একজন প্রাক্তন জঙ্গি নেতা বকলমে হুমকি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকেই।

রাজনীতিকরা বলছেন, রঞ্জিত দেববর্মার মতো একজন প্রাক্তন জঙ্গি নেতা বকলমে হুমকি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকেই।কারণ জন সংঘের প্রতিষ্ঠাতার নামে টাউন হল নামকরনের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন তিনি। রাজনৈতিক প্রাজ্ঞদের কথায়, বাঙালির রক্ত চুষক রঞ্জিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রশংসা করে বুঝিয়ে দিলেন জনজাতিরা তাঁকে বেশি পছন্দ করে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন রঞ্জিত। যদিও এর আগে বিপ্লব কুমার দেব বলেছিলেন, তাঁর পরামর্শে প্রদ্যুৎ কিভাবে গঠন করেছিলেন তিপ্রামথা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *