সম্প্রতি তিনি বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। বিজেপি নেত্রী হাজিরা বেগমের বাড়ির সামনে দিয়ে এমন সময় হাজিরা বেগম সাকিনাকে ধরে টেনে হিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। এখানে উপস্থিত ছিলো তার অভিযুক্ত স্বামী আছাড় উদ্দিন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তারা সাকিনাকে মারধর করার পাশাপশি তার শরীরের বিভিন্ন আপত্তিকর অংশে মরিচের বাটা লাগিয়ে দেয়।
ধর্মনগর, ডেস্ক, ১৮ জুন।।
এই যেন নর পিচাশ! অসহায় মহিলাকে ভোগ করতে না পেরে তার শরীরের আপত্তিকর জায়গাতে মরিচের বাটা লাগিয়ে দিয়ে উল্লাস করলো শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামী। নির্যাতিতা মহিলা সাকিনা বেগম। বাড়ি উত্তর জেলার ধর্মনগর থানাধীন ঢুপিরবন্দ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়।
এক পক্ষ কাল আগে ধর্মনগর থানায় মামলা করেও কোনো বিচার পাচ্ছেন না নির্যাতিতা। বাধ্য হয়ে স্থানীয় লোকজন থানা ঘেরাও অভিযান করে। তারপরও টনক নড়ে নি ধর্মনগর মহিলা থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত উর্ধিধারী দিদিমনিদের।
স্থানীয় পঞ্চায়েতেয় সদস্যা তথা বিজেপি নেত্রী হাজিরা বেগমের স্বামী কুতুবউদ্দিন প্রায়শই কুপ্রস্তাব দেয় সাকিনাকে।
অসহায় মহিলা সাকিনা বেগমের আভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েতেয় সদস্যা তথা বিজেপি নেত্রী হাজিরা বেগমের স্বামী কুতুবউদ্দিন প্রায়শই কুপ্রস্তাব দেয় সাকিনাকে। তাতে তিনি রাজি হন নি। বরং তীব্র প্রতিবাদ করেন। সাকিনা এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী হাজিরা বেগমকে। তারপরও বিজেপি নেত্রীর স্বামী একই কাজ করে থাকে।

সাকিনা বেগমের কথায়, সম্প্রতি তিনি বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। বিজেপি নেত্রী হাজিরা বেগমের বাড়ির সামনে দিয়ে এমন সময় হাজিরা বেগম সাকিনাকে ধরে টেনে হিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। এখানে উপস্থিত ছিলো তার অভিযুক্ত স্বামী আছাড় উদ্দিন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তারা সাকিনাকে মারধর করার পাশাপশি তার শরীরের বিভিন্ন আপত্তিকর অংশে মরিচের বাটা লাগিয়ে দেয়।
আজ পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত কুতুবুদ্দিন ও তার স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যা হাজিরা বেগমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি।

এই ঘটনার পর সাকিনা বেগম ধর্মনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত কুতুবুদ্দিন ও তার স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যা হাজিরা বেগমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। স্থানীয় লোকজন পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন তারা বাধ্য হয়ে নির্যাতিতা সাকিনা বেগমকে নিয়ে অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে হাজির হন ধর্মনগর থানায়। অবাক করার মত ঘটনা থানার কর্মরত মহিলা পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, “এই বিষয়ে তারা কিছুই বলতে পারেন না। কথা বলবেন থানার বড় দিদিমণি”।