গোবিন্দ পুর এলাকার জঙ্গল থেকে তিন জোড়া পোশাক দুটি শাবল ও একটি দা ও ভুজালি উদ্ধার করা হয়।
চুড়াইবাড়ি ডেস্ক, ২রা মার্চ।। টিএসআরের পোশাক পরে ডাকাতি কাণ্ডে চুড়াই বাড়ি থানার পুলিশ এখন পর্যন্ত মোট তিন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃতরা হলো কাবিল হোসেন, জমির উদ্দিন ও বিলাল উদ্দিন ওরফে হেলাল। ধৃত প্রত্যেকের বাড়ি দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর ওয়ার্ডে। তদন্তকারী পুলিশ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত জলপাই রঙের পোশাক ও কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ডাকাতির সময় গোবিন্দপুর গৃহস্থের বাড়ি থেকে লুঠ করে নিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারে নি। তাছাড়া ডাকাতির সময় দুষ্কৃতীদের হাতে থাকা বন্দুকও উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ।তবে তদন্তকারী পুলিশ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই এই সমস্ত জিনিস উদ্ধার করতে সক্ষম হবে তারা।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে হিন্দি সিনেমার কায়দায় ডাকাত দলের সদস্যরা অপারেশন চালায় চুড়াইবাড়ি থানার গোবিন্দপুরের সাধন দেবের বাড়িতে। অপারেশন চলাকালীন ডাকাত দলের সদস্যদের পরনে ছিলো টিএসআরের পোশাক। হাতে ছিল বন্দুক।গৃহস্থের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা লুঠত্বরাজ চালিয়েছিল।
।উদ্ধারকৃত টিএসআরের পোশাক।(ছবি – নিজস্ব)
এই ঘটনার পর চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ একটি মামলা ( ৬/২৫) রুজু করে। বিএনএস ৩৩১(৪)/৩১০(২)/ ১১৭(২)/৩(৫) ও অস্ত্র আইনের ১৭ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে।পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে কাবিল হোসেন ও জমির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করে বিলাল উদ্দিন ওরফে হেলালকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই গোবিন্দ পুর এলাকার জঙ্গল থেকে তিন জোড়া পোশাক দুটি শাবল ও একটি দা ও ভুজালি উদ্ধার করা হয়। জানিয়েছেন চুড়াই বাড়ি থানার ওসি খোকন সাহা।
ওসি খোকন সাহা।
তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্থানীয় লোকজন।
এই ডাকাতির ঘটনায় আরো কয়েকজন জড়িত আছে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম উন্মোচন করছে না।তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য জাল বিস্তার করা হয়েছে বলেও দাবি ওসি খোকন সাহার। গোবিন্দপুরের চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত চুড়াই বাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষ।তবে পর পর তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্থানীয় লোকজন।