ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়মের কোনো বালাই নেই। উপাচার্য প্রফেসর গঙ্গা প্রসাদ প্রসাইন ইউজিসির নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনটি ডিপার্টমেন্টে ফ্যাকাল্টি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। আগামী ৮ ও ৯ জুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। ল, সংস্কৃত ও সোসিওলজি এই তিনটি ডিপার্টমেন্টে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।


ডেস্ক রিপোর্টার,৩ জুন।।
                        ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য প্রফেসর গঙ্গা প্রসাদ প্রসাইন ও রেজিস্ট্রার ড. দীপক শর্মার বিরুদ্ধে চাকরী দুর্নীতি নিয়ে সরব রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি কেন্দ্রিয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের চাকরী দুর্নীতি নিয়ে চিঠি লিখেন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে। একই সঙ্গে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি ও মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহাকে।
       

ভিসি প্রফেসর গঙ্গা প্রসাদ প্রসাইন।


কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন জানিয়েছেন, ইউজিসি- র নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের চাকরী থেকে অবসর গ্রহণের ছয় মাস আগেই সমস্ত ক্ষমতা সিজ হয়ে যায়। কিন্তু ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়মের কোনো বালাই নেই। উপাচার্য প্রফেসর গঙ্গা প্রসাদ প্রসাইন ইউজিসির নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনটি ডিপার্টমেন্টে ফ্যাকাল্টি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। আগামী ৮ ও ৯ জুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। ল, সংস্কৃত ও সোসিওলজি এই তিনটি ডিপার্টমেন্টে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

।বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের চিঠির অংশ।

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর গঙ্গা প্রসাদ প্রসাইনের সময়ে সমস্ত চাকরী প্রক্রিয়ার দুর্নীতি হয়েছে।

বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর গঙ্গা প্রসাদ প্রসাইনের সময়ে সমস্ত চাকরী প্রক্রিয়ার দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সুষ্ঠ তদন্তের দরকার। কারণ এই সময়ে ত্রিপুরা ইউনিভার্সিটিতে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-অশিক্ষকদের মধ্যে সিংহভাগ বহি: রাজ্যের। মাত্র ৫- ৬ জন রাজ্যের ছেলে মেয়ে। সুদীপ রায় বর্মন তথ্য দিয়ে বলেন, উপাচার্য প্রফেসর গঙ্গা প্রসাদ প্রসাইনের ছেলেও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।

।কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।

সুদীপ রায় বর্মন আক্ষেপ করে বলেন, উপাচার্যের এই দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা। সুদীপ রায় বর্মন অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. দীপক শর্মার বিরুদ্ধে। সুদীপের অভিযোগ, রেজিস্টার দীপক শর্মার দিল্লিতে বসে অফিস পরিচালনা করেছেন।তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না।

সুদীপ বলেন, গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা।

সুদীপ বলেন, গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা। প্রসঙ্গ টেনে সুদীপের বক্তব্য, বছর দুয়েক আগে চাকরিতে পিআরটিসি ( তাঁর আন্দোলনের ফলে) বাধ্যতা মূলক করার পর মুখ্য সচিব জে কে সিনহা উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। সুদীপ বলেন, রাজ্যের বেকারদের চাকরী থেকে বঞ্চিত করে বহিঃ রাজ্যের ছেলে মেয়েদের চাকরী পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উচ্চ স্তরে একটি চক্র সক্রিয়।

দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়: সুদীপ

সুদীপ রায় বর্মন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চাকরি কেলেঙ্কারি ও অন্যান্য দুর্নীতি নিয়ে চিঠি লিখেছেন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনেও সুদীপ সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে। সুদীপ রায় বর্মনের কথায়, “তৎকালীন সময়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আস্বস্ত করে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত হবে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।” সুদীপ রায় বর্মন স্পষ্ট করে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসের পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিশ্চুপ রাজ্যের রাজ্যপাল তথা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ইন্দ্র সেনা রেড্ডি।
     সুদীপের দাবী, দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হওয়া কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির কাঠ গড়ায় নিয়ে যাওয়া উচিত রাজ্য সরকারের।

#Tripura #Central University# #C@orrup@tion#JM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *