“যৌথ বাহিনী বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসে জিআরপি থানায় । তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এরা দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত ডিঙিয়ে প্রবেশ করেছে ভারত ভূখণ্ডে। পুলিশি জেরায় যেত বাংলাদেশিরা জানিয়েছে, তারা ত্রিপুরায় এসেছে চেন্নাই যাওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে করবে কাজের সন্ধান।”…

সোর্স মাধ্যমে এই খবর পৌঁছার পর জিআরপি, আরপিএফ, বিএসএফের গোয়েন্দা আগরতলা রেল স্টেশন চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় এবং বিছিয়ে দেয় জাল। ধীরে ধীরে যৌথ বাহিনীর পাতা জালে একে একে আটকে যায় ২৩ জন বাংলাদেশী।
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
“কোটা সংস্কার” আন্দোলনকে ঘিরে হিংসার আগুনের উত্তাপ এখনো গোটা বাংলাদেশে। তার মধ্যেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত ডিঙিয়ে ত্রিপুরায় কাতারে কাতারে প্রবেশ বাংলাদেশী নাগরিক।শনিবার দুপুর ও সন্ধ্যায় আগরতলা রেল স্টেশন ও এমবিবি বিমানবন্দর থেকে মোট ২৯জন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে আগরতলা রেল স্টেশনে ২৩ জন এবং বাদবাকি ৬ জন এমবিবি এয়ার পোর্টে। ধৃতদের রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।আদালত বাংলাদেশী নাগরিকদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। জানিয়েছেন আগরতলা জিআরপি থানার ওসি ইনস্পেক্টর তাপস দাস ও এয়ারপোর্ট থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল।

জিআরপি থানার ওসি তাপস দাসের কথায়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পেরেছিল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশী নাগরিকদের একটি বড় গ্রুপ আসবে আগরতলা রেল স্টেশন। তাদের উদ্দেশ্য আগরতলা থেকে ট্রেনে করে চেন্নাইয়ে পাড়ি দেওয়া। সোর্স মাধ্যমে এই খবর পৌঁছার পর জিআরপি, আরপিএফ, বিএসএফের গোয়েন্দা আগরতলা রেল স্টেশন চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় এবং বিছিয়ে দেয় জাল। ধীরে ধীরে যৌথ বাহিনীর পাতা জালে একে একে আটকে যায় ২৩ জন বাংলাদেশী। এদের কাছে ছিলো না কোনো পাসপোর্ট। ধৃতদের মধ্যে একজন দালালও রয়েছে। তার নাম সেলিম রেজা।

যৌথ বাহিনী বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসে জিআরপি থানায় । তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এরা দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত ডিঙিয়ে প্রবেশ করেছে ভারত ভূখণ্ডে। পুলিশি জেরায় যেত বাংলাদেশিরা জানিয়েছে, তারা ত্রিপুরায় এসেছে চেন্নাই যাওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে করবে কাজের সন্ধান। ধৃতরা সবাই বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তবে তাদের বয়স ত্রিশের নিচে।

হঠাৎ করে ২৯ জন বাংলাদেশী যুবক ত্রিপুরায় প্রবেশ করার ঘটনা নানান দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে ইতিমধ্যে প্রায় রোজ বাংলাদেশীরা ভিড় জমাচ্ছে আগরতলা রেলস্টেশনে। এই প্রবণতা নিঃসন্দেহে রাজ্য ও দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য কে কে আনতে পারে মহা বিপদ।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরেও ছয় জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে। তারা বিমানে করে আগরতলা থেকে বহির রাজ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। বিমানবন্দর চত্বরে বাংলাদেশীদের দেখে সন্দেহ হয়েছিল সিআইএসএফের।

এরপরই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই বেরিয়ে আসে সব তথ্য। ধৃতদের কাছে ছিল না ভারতে আসার বৈধ কাগজপত্র। পরবর্তী সময়ে সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষ ধৃতদের তুলে দেয় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের হাতে। জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল।