“হাস্যকর ঘটনা সম্প্রতি গন্ডাছড়াতে রাতের আধারে একের পর এক বাঙালি ঘর বাড়িতে আগুন দিয়েছিলো সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা।তখন পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু আগরতলা রেলস্টেশনে নিরস্ত্র অসহায় আন্দোলনের জন্য জমায়েত হওয়া বাঙালিদের ঠেকানোর জন্য পুলিশ নিয়ে এসেছে দাঙ্গা নিরোধক যান বজ্র – বরুন।“
।।আগরতলা রেল স্টেশনে বাঙালি অংশের মানুষের জমায়েত।।
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা কেন্দ্র করে রাজ্যেও হিন্দু বাঙালিদের জাগরণ শুরু হয়েছে। তবে তাদের সামনে বড় প্রতিবন্ধকতা বিজেপি সরকারের প্রশাসন। রবিবার রাজ্যের বাঙালি সমাজের ব্যানার থেকে বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে উদ্যোগ নিয়েছিল বাঙালি অংশের মানুষ। তারা নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসন থেকে নিয়েছিল অনুমতি।তাদের জমায়েতের স্থান ছিল আগরতলা স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান।কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যিই, পুলিশ প্রশাসন প্রথমে প্রতিবাদ র্যালি করার অনুমতি দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নেয়। তাই তারা বাধ্য হয়ে জমায়েত হয় আগরতলা রেল স্টেশনে।
হাস্যকর ঘটনা সম্প্রতি গন্ডাছড়াতে রাতের আধারে একের পর এক বাঙালি ঘর বাড়িতে আগুন দিয়েছিলো সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা।তখন পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু আগরতলা রেলস্টেশনে নিরস্ত্র অসহায় আন্দোলনের জন্য জমায়েত হওয়া বাঙালিদের ঠেকানোর জন্য পুলিশ নিয়ে এসেছে দাঙ্গা নিরোধক যান বজ্র – বরুন।
।।দাঙ্গা নিরোধক যান বজ্র।।
ছি: ছি: পুলিশ। বাঙালি সমাজের জমায়েত ঠেকাতে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরন কুমার কে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, আমতলী এসডিপিও শঙ্কর দাস ও ওসি রঞ্জিত দেবনাথ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
।।রেল স্টেশনে মোতায়েন নিরাপত্তা রক্ষী।।
বাঙালি আন্দোলন ঠেকাতে রাজ্য পুলিশের এই রণ সাজ সত্যিই লজ্জার। সারা রাজ্য থেকে কয়েক হাজার লোক এসে সামিল হয়েছিল রেল স্টেশনে। বাদবাকী স্টেশনে পৌঁছতে পারেনি।আগেই তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়েছিল।
।।বিজ্ঞাপন।।
আগরতলা স্টেশনে মোতায়েন করা হয়েছে এক প্যাটুন টিএসআর। তাছাড়াও ছিলো টি এস আরের কুইক রিয়েকশন টীম। এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো সাদা পোশাকের পুলিশ। বাঙালি আন্দোলন ঠেকাতে রাজ্য পুলিশের এই রণসাজ সত্যিই লজ্জার। সারা রাজ্য থেকে কয়েক হাজার লোক এসে সামিল হয়েছিল রেল স্টেশনে। বাদবাকী স্টেশনে পৌঁছতে পারেনি।আগেই তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়েছিল।জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে পশ্চিম জেলার এসপি কিরন কুমারের নেতৃত্বে রেল স্টেশনে আসা পুলিশ কর্মীরাও বাঙালিদের এদিনের আন্দোলনকে মানসিক ভাবে সমর্থন করেছিলেন।কিন্তু তারা যে সরকারের কাছে দায়বদ্ধ।তাই সরকারের নির্দেশ অনুসারে আন্দোলনের জন্য জমায়েত হওয়া বাঙালিদের লক্ষণ রেখা টেনে দিয়েছিলো।
।।বিজ্ঞাপন।।
তারপরও ধর্মনগর থেকে সাব্রুম সমস্ত জায়গাতে থেকে আসা বাঙালি লোকজন জড়ো হয়েছিলো। জেলা পুলিশের এসপি কিরণ কুমারের বক্তব্য, শনিবার রাতেই একদল দুষ্কৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অডিও ছড়িয়ে দেয়। মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। এই সব কারণেই প্রশাসন বাঙালিদের জমায়েত ও আন্দোলন করতে বারণ করে।.
।।এসপি ও এএসপি।।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বাদবাকি মন্ত্রী ও বিধায়করা এই ৪০টি আসন থেকেই জয়ী হন।তাদেরকে ভোট দেন বাঙালিরা।তাহলে কেন বাঙালিরা আন্দোলন করতে পারবে না?
বাঙালি সমাজের বক্তব্য, গোটা ঘটনার পেছনে বড় রকমের ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই রাজ্যে আরেকটি বিশেষ জন গোষ্ঠীর লোকজন আন্দোলন করলে পুলিশ তাদেরকে আটকে দেওয়া দুঃসাহস দেখায় না কেন? তখন কোথায় থাকেন বিজেপি সরকারের দন্ড দণ্ডমুন্ডের কর্তারা? কেন তারা মুখে কুলুপ এঁটে রাখেন? অথচ রাজ্য বিধানসভায় বাঙালিদের ৪০টি আসন বাঙালিদের। অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বাদবাকি মন্ত্রী ও বিধায়করা এই ৪০টি আসন থেকেই জয়ী হন।তাদেরকে ভোট দেন বাঙালিরা। তাহলে কেন বাঙালিরা আন্দোলন করতে পারবে না?
।।বিজ্ঞাপন।।
বাঙালি সমাজ ইঙ্গিত করেছে আগামী দিনে তারা সম্মিলিতভাবে ভোট বয়কটের ডাক দেবে। তখন কি রাজ্যের ৪০টি আসনে লড়াই করা তিন জাতীয় দল বিজেপি,কংগ্রেস ও সিপিআইএম- প্রার্থীরা কিভাবে ভোট বৈতরণী অতিক্রম করবেন?
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন রাজ্যের বাঙালিদের এই প্রশ্ন তোলা স্বাভাবিক। তবে বাঙালি সমাজ ইঙ্গিত করেছে আগামী দিনে তারা সম্মিলিতভাবে ভোট বয়কটের ডাক দেবে। তখন কি রাজ্যের ৪০টি আসনে লড়াই করা তিন জাতীয় দল বিজেপি,কংগ্রেস ও সিপিআইএম- প্রার্থীরা কিভাবে ভোট বৈতরণী অতিক্রম করবেন? এই কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর কি আছে মানিক সাহা- মানিক সরকার ও সুদীপ রায় বর্মনদের মুখে?