ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮ মার্চ।।
বাম জামানার দাগি ক্যাডারদের ভিড় বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে।এরাই বিজেপির নামকে করছে কলঙ্কিত!নানান দিকে নামাবলী পাল্টে গেরুয়া বসন পড়ে উই পোকার মতো ভাজপা খেয়ে দিচ্ছে এই বাম ক্যাডাররাই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্ত লোকজনের ক্রোমোজোমের চরিত্রই এটা । যখন যে রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়াতে থাকবে, তারা এই দলটিকেই কুরে কুরে খাবে। এই সমস্ত বাম ক্যাডারদের সৌজন্যেই একদিন বিজেপি চলে আসতে পারে খাদের কিনারায়!বিজেপির চলমান এই দৃশ্য দেখে এমনটাই ইঙ্গিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় বেশি দিন থাকলে তাতে প্রবেশ করবে “বেনো জল”। এটাই স্বাভাবিক।তবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঝাড়াই বাছাইয়ের প্রক্রিয়া থাকলে বেনো জল থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়ার সুযোগ থাকে।যদি ছাঁকনি ব্যবস্থা ভালো না থাকে,তাহলেই বিপদ। বর্তমানে এই ভয়ঙ্কর বিপদের সন্মুখীন হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি।
ভাজপার শিবিরের তথ্য অনুযায়ী, বাম জামানায় দাগি লোকজন এখন ভাজপা নেতৃত্বের কোলে বসে আছে। এরাই মূলত নানান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।আবার এরাই মণ্ডলে মণ্ডলে বিজেপির হয়ে শোভা বর্ধন করছে। গলায় ধরছে জয়শ্রী রাম ধ্বনি। এটা বিজেপির নেতৃত্বের জন্য একটা বড় ব্যর্থতা।কারণ তারা বামেদের প্রকৃত “সংগঠকদের” দলে আনতে পারে নি। তারা দলে আনছে বাম জামানার ধান্দাবাজ কমরেডদের। ভাজপার নিষ্ঠাবান কর্মীদের বক্তব্য, তাদের চেহারা দেখেই এখন বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত কর্মীরা এড়িয়ে চলেন মন্ডল, বুথ অফিসকে।তাদের ৯৯ শতাংশ ২০১৮ সালের ৩রা মার্চের পরে যোগ দিয়েছিল ভাজপা শিবিরে। ২৩- র নির্বাচনে এরা সমান্তরাল ভাবে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো বামেদের লাল বাড়ির সঙ্গে। আর এই কারণেই ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের ভাজপার কানের সামনে দিয়ে গিয়েছিল বিপদ। তারা ভাজপার সঙ্গে থেকেও ভাজপাকে ভোট দেয় নি।
তারপরও কি বিজেপির নেতারা বুঝতে পারছেন না? নাকি,বাম ক্যাডারদের অর্থের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে তাদেরকে দুর্নীতির পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে বিজেপির সংগঠনে কদর বেড়েছে অতীতের ধান্দাবাজ বাম ক্যাডাররা। অতীতের এই সমস্ত ক্যাডারদের বাম নেতারাই ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল দুর্নীতির জন্য।এখন পদ্ম শিবিরে তাদের গুরুত্ব বাড়াতে হতাশ হয়ে গেছেন বিজেপির পুরানো কর্মীরা ।এই জায়গা থেকেই বিজেপি বিরোধী হওয়া বইতে শুরু করেছে ।
সম্প্রতি একথা অকপটে স্বীকার করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বিশালগড়ে একটি অনুষ্ঠানে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, দলের নিষ্ঠাবান কর্মীরা যখন রাগ করে বসে যান, তখনই তারাই বিরোধী হাওয়াকে শক্তিশালী করে। তাই নেতৃত্বের প্রতি বিপ্লবের পরামর্শ ছিলো,”দলের পুরানো নিষ্ঠাবান কর্মীদের কোনো ভাবেই আঘাত করা যাবে না।” তারা রেগে গেলেই বাড়বে বিপদ।”
রাজনীতিকদের কথা অনুযায়ী, গোটা রাজ্যেই বিজেপির সংগঠনে এই চিত্র প্রকট হয়েছে।এরফলে আগামী দিনে আশঙ্কার প্রহর গুনতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বকে। তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত কৃষ্ণপুর কেন্দ্রের দুশ্চরিত্রের দিলীপ সরকার। আগরতলার গ্র্যাণ্ডিউজ চৌমুনীর যুব নেতা রাজা সাহা।যার বাড়িতে চালানো হয়েছিল পুলিশি অভিযান। সারা রাজ্যে এমন দৃষ্টান্ত ভুরি ভুরি। তাই সাধু সাবধান। বেনো জল খোকলা করে দিতে পারে গেরুয়া গহ্বরকে। আক্ষরিক অর্থে প্রকৃত বাম সংগঠকদের দলে টানতে পারলেই ভারী হবে ভাজপার সংগঠনও। বেনো জলে ভেসে আসা বাম চিনেপুটিরা বিজেপিকে শুধু করবে কলঙ্কিতই। এই ব্যাখা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
#Tripura #Politics#Bjp#cpim #jm