#Tripura #Bangladesh #Sheikh#Hasina#ISI#Agent#Janatar#mashal

কেন্দ্রিয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের উদ্দেশ্যেই আইএসআই এজেন্ট মুনির খান রাজ্যে এসেছিলো।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা করা রিপোর্টে বলা হয়েছে,”পাক গুপ্তচর সংস্থা ভারতে নানান নাশকতামূলক কার্যকলাপ শুরু করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করতে পারে ত্রিপুরার মাটিকে। ত্রিপুরাকে করিডোর করে ভারতের নানান জায়গায় সন্ত্রাসের বীজ বপন করবে আইএসআই।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ ফেব্রুয়ারি।।
                         ইউনূস সরকারের জামানায় বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের দখলে। ইউনুস সম্পর্ক গভীর তৈরি করছে  পাকিস্তানের সঙ্গে।  সম্প্রতি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই’ র দশজনের একটি টিম বাংলাদেশে অবস্থান করেছে। তারা ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে গিয়েছে চট্টগ্রামে। সেখানে বসেই তৈরি করছে ভারত বিরোধী ব্লু প্রিন্ট। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত খবর পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দার কাছে। গোয়েন্দার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি রিপোর্টও জমা করা হয়েছে।
                   কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা করা রিপোর্টে বলা হয়েছে,”পাক গুপ্তচর সংস্থা ভারতে নানান নাশকতামূলক কার্যকলাপ শুরু করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করতে পারে ত্রিপুরার মাটিকে। ত্রিপুরাকে করিডোর করে ভারতের নানান জায়গায় সন্ত্রাসের বীজ বপন করবে আইএসআই।


ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় আরো বেশি করে নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাশাপাশি রাজ্যের অভ্যন্তরেও পাক গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের গতিবিধি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা। স্বাভাবিকভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সংক্রান্ত নির্দেশে সীমান্ত এলাকাসহ রাজ্যের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে রাজ্য পুলিশ। তবে ত্রিপুরাতে আইএসআই এজেন্টদের আগমন নতুন কিছু নয়। এর আগেও রাজ্যে নাশকতার উদ্দেশ্যে আইএসআই এজেন্টরা অবস্থান করেছিল।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/।।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আগে মুনির খান নামে আইএসআইয়ের এক এজেন্ট সোনামুড়া রাঙ্গামাটি সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে প্রবেশ করেছিল রাজ্যের ভূখণ্ডে। গোয়েন্দা ও পুলিশের তৎপরতায় মুনির খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একইসঙ্গে তার কয়েকজন স্থানীয় এজেন্টকেও জালে তুলেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলো শহরের আড়ালিয়ার বাসিন্দা রামু ঘোষ।


        আইএসআই গুপ্তচর মুনির খান
          কেন এসেছিলো ত্রিপুরায়?

আইএসআই এজেন্ট মুনির খানের আগমনের কিছুদিন পর রাজ্যে আসার কথা ছিল বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। হাসিনার গন্তব্যস্থল ছিলো ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়। উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। তৎকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন অরুণ উদয় সাহা।এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণের উদ্দেশ্যেই আইএসআই এজেন্ট মুনির খান রাজ্যে এসেছিলো। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে  একথা জানিয়েছিলো মুনির।


আবারও ত্রিপুরাকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা।

শেখ হাসিনার ত্রিপুরা সফর সম্পর্কে আইএসআইয়ের করাচিস্থিত সদর দপ্তরে সমস্ত খবরাখবর পাঠানোর জন্যই মুনিরকে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যে।সুতরাং আইএসআই আরো আগে থেকেই ত্রিপুরাকে টার্গেট করে ভারত ভূখণ্ডে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। গত এক যুগ আগে আইএসআই ব্যর্থ হয়েছিলো। পুলিশ ও গোয়েন্দা গ্রেফতার করেছিল তাদের এজেন্ট মুনির খানকে। তাই আবারও ত্রিপুরাকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। তবে আইএসআই এজেন্ট মুনির খানকে গ্রেফতারের কয়েকমাস পর কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন রাজ্যে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *