“এসপি স্তরের এক আধিকারিকের নির্দেশে এই নাকি ইয়াবার ট্যাবলেটের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে রাজ্যে। মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে দামছড়া সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে আমদানি হয়ে থাকে ইয়াবার ট্যাবলেটের চালান। সংশ্লিষ্ট রুটের মাদক বাণিজ্যের পর্দার অন্তরালে থাকা “মাস্টারমাইন্ড” রাজ্য পুলিশের এই আইপিএস কর্তা। “…

রাজ্য পুলিশের একজন “মনোনীত ” আইপিএস  কিভাবে হয়ে উঠেছেন ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার বাণিজ্যের পিন কিং?তার পেছনে আছেন হিন্দুবাদী সংগঠনের মুখিয়া তথা প্রাক্তন পুলিশ কর্তা।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৭ জুলাই।।
             রাজ্যের নেশা কারবারের আতুর ঘর উত্তর জেলা। প্রায় প্রতিদিন জেলার কোনো না কোনো জায়গা থেকে পুলিশ উদ্ধার করছে মাদক পণ্য। গাঁজা – নেশা জাতীয় কফ সিরাপ সহ ইয়াবা ট্যাবলেট। চলতি সপ্তাহে ধর্মনগরেরে নোয়া পাড়া থেকে পুলিশ বড় চালানের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছিলো। আটক করেছিলো মাদক পাচার বাণিজ্যে ব্যবহৃত একটি থার গাড়ি ও মোটর বাইক। থার গাড়ির মালিকের সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে দামছড়া থানায় কর্মরত এক কনস্টেবলকে। তার নাম সন্তোষ শীল।শুক্রবার ধৃত সন্তোষকে পুলিশকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে ধর্মনগর থানায়। গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। ধৃত কনস্টেবল সন্তোষ শীলকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তও করেছে আরক্ষা প্রশাসন।

।।ধৃত পুলিশ কনস্টেবল সন্তোষ শীল।।

পুলিশ কনস্টেবল সন্তোষ শীলকে গ্রেফতারের পর খোদ প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় স্বরাষ্ট্র দপ্তর। তবে রাজ্য পুলিশে এটা নতুন নয়। এর আগে পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে কনস্টেবলদের গ্রেফতার করা হয়েছিল মাদক বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে। এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট মাদক কারবারের সঙ্গে আরক্ষা প্রশাসনের শক্তিশালী পাইপলাইন কাজ করছে নিয়মিত ভাবে। গত কয়েক বছর আগে রাজ্য পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ধ্রুব মজুমদারকে গ্রেফতারের পর তার “গডফাদার” হিসেবে নাম উঠে এসেছিল এক গোয়েন্দা এসপি’ র। ধর্মনগর নোয়াপাড়া ইয়াবা ট্যাবলেট কাণ্ডে  পুলিশ কনস্টেবল সন্তোষ শীলের গ্রেফতারের  একইভাবে সামনে চলে এসেছে রাজ্য পুলিশের একজন এসপি স্তরের অফিসারের নাম।

।।বিজ্ঞাপন।।

মাদক বাণিজ্যের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসপি স্তরের এই আধিকারিকের নির্দেশে এই নাকি ইয়াবার ট্যাবলেটের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে রাজ্যে। মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে দামছড়া সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে আমদানি হয়ে থাকে ইয়াবার ট্যাবলেটের চালান। সংশ্লিষ্ট রুটের মাদক বাণিজ্যের পর্দার অন্তরালে থাকা “মাস্টারমাইন্ড” রাজ্য পুলিশের এই আইপিএস কর্তা।

।।মাদক পাচারের করিডোর দামছড়ার দশরথ সেতু।।

মাদক কারবারের গর্ভগৃহের তথ্য বলছে , রাজ্য পুলিশের এই আইএসপি’র ইয়াবা বাণিজ্যের রুট দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে সুমন গোস্বামী ওরফে কালা। তার বাড়ি উত্তর জেলার চুড়াইবাড়ি গেট সংলগ্ন এলাকায় । সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মাফিয়া হিসেবে সুমনের জুড়িমেলা ভার। সুমন ওরফে কালা নিজেকে শাসক দলের নেতা বলে জাহির করে থাকে। বাস্তব অর্থে বিজেপির সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে মাঝে মধ্যেই শাসক দলের স্থানীয় কার্যালয়ে আনাগোনা করে থাকে। এবং স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে ম্যানেজ করে মাসান্তে তাদের পকেটে গুঁজে দেয় কাঞ্চনমূল্য। রাজ্য পুলিশের এই আইপিএস’র নির্দেশেই পরিচালিত হয়ে থাকে কালা।
            

।।সুমন গোস্বামী ওরফে কালা।।

রাজ্য পুলিশের এই আইএসপি’র ইয়াবা বাণিজ্যের রুট দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে সুমন গোস্বামী ওরফে কালা।

।।বিজ্ঞাপন।।

ধৃত পুলিশ কনস্টেবল সন্তোষ শীল আইপিএস’র গ্রুপের সক্রিয় কর্মী। অভিযোগ,  এই কারণেই নাকি নোয়াপাড়ার ঘটনায় সন্তোষ শীল জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরও তার গ্রেফতার নিয়ে চলছিল টালবাহানা । শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের কড়া বার্তার পর উত্তর জেলার পুলিশ কনস্টেবল সন্তোষকে জালে তুলতে বাধ্য হয়। তবে ধৃত কনস্টেবল সন্তোষ শীল ধর্মনগর থানার লকআপে আছে জামাই আদরেই।

।।ধর্মনগর নোয়া পাড়াতে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক কৃত থার গাড়ি।

রাজ্য পুলিশের একজন “মনোনীত ” আইপিএস  কিভাবে হয়ে উঠেছেন ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার বাণিজ্যের পিন কিং?  মাদক বাজারের ফিসফিস, রাজ্যের এক হিন্দুবাদী সংগঠনের মুখিয়ার দৌলতেই  আইপিএস তার গায়ে খাকি উর্দি লাগিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।হিন্দুবাদী সংগঠনের মুখিয়াও  রাজ্য পুলিশের একজন প্রাক্তন আইজিপি ছিলেন।

। মাদক বাণিজ্যের ‘পিঞ্চ হিটার ‘ জন প্রতিনিধি।।

বর্তমানে তিনি হিন্দুবাদী সংগঠনের নেতা হওয়ার সুবাদে পুলিশ প্রশাসনও ছড়ি ঘুরাচ্ছেন রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে।চাকরি করাকালীন এই প্রাক্তন আইজি ছিলেন মেলারমাঠের ঘরের ছেলে। আর বিজেপি আসার পর তিনি রাতারাতি ছলম পাল্টে নাস্তিক থেকে আস্তিক হয়ে উঠেছিলেন। এবং হিন্দুবাদী সংগঠনের মুখিয়ার চেয়ার শোভা বর্ধন করে বসেন।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-fifteen-cows-killed-in-gandachhara-tripura-news


 

“”রাজ্যে রগ রগে ইয়াবা বাণিজ্যের নেপথ্যে কি ‘এসপি ‘ সাহেব?””


শহর দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তার অট্টালিকা সমেত একটি বাড়িও রয়েছে । এই বাড়িটিও নির্মাণ করে দিয়েছিলেন দক্ষিণ অঞ্চলের একজন প্রথম সারির ঠিকাদার। এই ঘটনা বাম জামানায়। তাহলে, স্পষ্ট বাম জামানাতেও নিজের উর্দির ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আইজি স্তরের  এই পুলিশ কর্তা কিভাবে ঘরে তুলেছিলেন দুর্নীতির অর্থ?


অবশ্যই বাম জামানায় এই আইজিপি হনুমানের মতো বুকে ধরে রাখতেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ছবি।আর এখনও তিনি চলাফেরা করেন শাসকদলের অন্তস্থলে। দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে তার উঠা বসা।তাই তার পোয়া তো বার হবেই।

।।বিজ্ঞাপন।।

মাদক কারবারের অন্দর মহল থেকে উঠে আসার তথ্য বলছে,  হিন্দুবাদী সংগঠনের  রাজ্য শাখার প্রধান মুখিয়ার সঙ্গে উত্তর জেলার শাসক দলীয় একজন হেভি ওয়েট প্রতিনিধির সঙ্গে মধুর সম্পর্ক। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা
মাদক ব্যবসায়ী তথা বর্তমানের আইপিএস অফিসারের সঙ্গেই উওর জেলার জন প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দিয়েছিলেন।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1814656604832473572?t=gJ3bTKV1AL72GBLI7_n1Mw&s=19


এই সম্পর্ককে হাতিয়ার করেই বিনা বাধায় আইপিএস – র মাদক বাণিজ্যের টিম ইয়াবার ট্যাবলেটের বড় বড় চালান নিয়ে আসছে রাজ্যে। করছে রমরমা করবার। প্রাক্তন পুলিশ কর্তা – বর্তমান আইপিএস ও উত্তর জেলার হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধি’র ত্রিবেণী সঙ্গমে মায়ানমার থেকে মিজোরাম ও ত্রিপুরায় গড়ে উঠেছে মাদক কারবারের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।

আরো খবর পড়ুন

P – interest https://pin.it/31bhi2Ixh

রাজ্যের মাদক বাণিজ্যের এই সমীকরণ থেকে স্পষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন কোনদিনই সফল হবে না। তাদের স্বপ্ন চিরতরে স্বপ্নই থেকে যাবে। কারণ, রক্ষকের প্রথম সারির এজেন্টরাই এখন মাদক বাজারের এলিট ক্লাসের “মাফিয়া”।অর্থাৎ এই তথ্য প্রমাণ করছে রাজ্যে মাদক কারবারের শিকড় কোথায় আছে প্রোথিত?

।।ধর্মনগর নোয়া পাড়া থেকে উদ্ধারকৃত ইয়াবার ট্যাবলেট।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *