সাবিত্রী রুদ্র পাল তার স্বামীকে হারালেন। খোয়া গেল তার কোটি টাকার সোনা ও নগদ অর্থ।পুলিশ করছে না মামলার তদন্ত।খুনের সঙ্গে কারা জড়িত? তাও ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে পুলিশ।অসহায় সাবিত্রী রুদ্র পালের পরিবারের সঙ্গে আইনের রক্ষক কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ কেন করছে অবিচার ?
“বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জামানায় পুলিশ প্রমাণ করলো তারাও পেশাদারী তোলাবাজ, ছিনতাইবাজ,চোরদের থেকে কোনো অংশে কম নয়। পুলিশের এই অপরাধ মূলক কার্যকলাপের বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ! কেন সাধারণ মানুষ কাঞ্চনপুরের পুলিশকে কেন “অপরাধীর” তকমা দিচ্ছে? এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে এই সংক্রান্ত অনুপুঙ্খ তথ্য।”
ডেস্ক রিপোর্টার, ২সেপ্টেম্বর।।
বাম – রাম সব জামানাতেই পুলিশের উর্দির রং এক। তাদের চরিত্রও এক। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা তারা কেউ-ই চরিত্র পরিবর্তন করতে পারেন নি। টানা কুড়ি বছরের বাম মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তো হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তার জামানার পুলিশকে নিয়ে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জামানায় পুলিশ প্রমাণ করলো তারাও পেশাদারী তোলাবাজ, ছিনতাইবাজ,চোরদের থেকে কোনো অংশে কম নয়। পুলিশের এই অপরাধ মূলক কার্যকলাপের বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ! কেন সাধারণ মানুষ কাঞ্চনপুরের পুলিশকে কেন “অপরাধীর” তকমা দিচ্ছে? এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে এই সংক্রান্ত অনুপুঙ্খ তথ্য।
তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য আততায়ীরা অখিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তার দেহ ফেলে দিয়েছিলো বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে। অখিল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিলো “কুঠার”। ময়না তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট।
নাম: অখিল রুদ্র পাল।
বাড়ি: দশদা, কাঞ্চনপুর
পেশা: ব্যবসায়ী।মৃত্যু: গত ৫ আগস্ট
সময়: রাত ১০টা নাগাদ
মৃত্যুর ধরণ: খুন
খুনের নেপথ্যে কারণ: পারিবারিক সম্পত্তি।
আরো খবর পড়ুন
দশদার ব্যবসায়ী অখিল রুদ্র পালকে খুন করা হয়েছে। রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর বিষয়টি পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য আততায়ীরা অখিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে তার দেহ ফেলে দিয়েছিলো বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে। অখিল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিলো “কুঠার”। ময়না তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট। কিন্তু খুনের কাজে ব্যবহৃত কুঠার কোথায়? উত্তর নেই কাঞ্চনপুর পুলিশের মুখে। বহু টালবাহানার পর স্থানীয় জনতার চাপের মুখে পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো খুন হওয়া ব্যবসায়ী অখিল রুদ্র পালের ভ্রাতুষ্পুত্র নির্মল রুদ্র পালকে। তিন দিনের রিমান্ডের পর ধৃত নির্মল অনুসন্ধানকারী পুলিশের কাছে প্রসব করে “অশ্ব ডিম্ব”।
* অখিল রুদ্র পালের মূল হত্যাকারী কে?
* কারা তার লাশ টেনে নিয়ে
জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিলো?
* হত্যার নেপথ্যে থাকা কারণ কি
পারিবারিক সম্পত্তি না অন্য কোনো কারণ?
আরো খবর পড়ুন
https://x.com/janatarmashal24/status/1829797254716162424?t=fHZ_tKTW2kzf42R2nHUULw&s=19
এই সমস্ত প্রশ্ন ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে কাঞ্চনপুর পুলিশ। অখিল রুদ্র পালের মৃত্যুর পর কাঞ্চনপুর থানার ওসি উদ্যম দেববর্মা থানায় খুনের মামলা রুজু করতেও রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত উত্তর জেলার এসপি ভানুপদ চক্রবর্তীর হস্তক্ষেপে অখিল দাসের বিধবা স্ত্রী থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন।
*পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন ১০৩(১)
ধারায় মামলা (৫৩/২৪) রুজু করেছিলো।
হত্যাকান্ডের পর অনুসন্ধানকারী পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ছিলো অখিল রুদ্র পালের বাড়িতে। মৃত অখিলের পরিবারের অভিযোগ, “তল্লাশির সময় পুলিশ তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে আসে”।
উদ্ধারকৃত সোনার বাজার মূল্য কোটি টাকা। তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন মামলার তদন্তকারী অফিসার পীযূষ সাহা।
পুলিশ সিজার লিস্টে মৃত অখিল রুদ্র পালের বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত সোনা ও নগদ টাকার কথা উল্লেখ করেই নি।
আরো খবর পড়ুন
P- interest: https://pin.it/61fUDw4vw
অবাক করার মতো বিষয় পুলিশ সিজার লিস্টে মৃত অখিল রুদ্র পালের বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত সোনা ও নগদ টাকার কথা উল্লেখ করেই নি। অখিল রুদ্র পালের স্ত্রী সাবিত্রী রুদ্র পাল প্রকাশ্যে এই তথ্য উগলে দেওয়ার পর চাপে পড়ে যায় তদন্তকারী পুলিশ। তবে তারা ভেঙ্গে পড়ে নি। কারণ রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এক রহস্য জনক কারণে নিশ্চুপ। পুলিশ নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসার পীযূষ সাহাকে সরিয়ে দেয়। নতুনভাবে মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ আধিকারিক বিশ্বজিৎ দেববর্মাকে। কিন্তু রহস্য জনক কারণে বিশ্বজিৎ দেববর্মাও ব্যবসায়ী অখিল রুদ্র পালের হত্যা মামলার তদন্তের দড়ি টেনে রেখে দিয়েছেন।
অভিযোগ,খুনিদের টাকার মোহে আচ্ছন্ন কাঞ্চনপুর থানার ওসি উদ্যম দেববর্মা সহ অন্যান্য অফিসাররা।
সাবিত্রী রুদ্র পাল তার স্বামীকে হারালেন। খোয়া গেল তার কোটি টাকার সোনা ও নগদ অর্থ।পুলিশ করছে না মামলার তদন্ত।খুনের সঙ্গে কারা জড়িত? তাও ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে পুলিশ।অসহায় সাবিত্রী রুদ্র পালের পরিবারের সঙ্গে আইনের রক্ষক কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ কেন অবিচার করছে? পুলিশের স্বার্থ- ই কি?অভিযোগ, খুনিদের টাকার মোহে আচ্ছন্ন কাঞ্চনপুর থানার ওসি উদ্যম দেববর্মা সহ অন্যান্য অফিসাররা।টাকার ভাগ বাটোয়ারাও কি পৌঁছে পুলিশের শীর্ষ মহলে? কারণ অখিল রুদ্র পাল হত্যা মামলার তদন্তের এই কদর্য চেহারা গোটা অরক্ষা প্রশাসনকে কালিমালিপ্ত করছে কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ।